উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক প্রাচীন জনপদের জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশন নানা সমস্যায় জর্জরিত। ভৌগোলিক অবস্থান ও রেলওয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন সমস্যা লক্ষ্য করা যায় তারমধ্যে অনলাইনে টিকেটের ব্যবস্হা না থাকায় ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীগণ,স্টেশনে যাত্রীদের জন্য একটা প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী ও এসির যাত্রীদের জন্য ব্যবহার যোগ্য বিশ্রামাগার নেই। অন্যান্য অনেক স্টেশনে নির্মাণ হলেও পাঁচবিবিতে নির্মাণ করা হয়নি। প্লাটফর্ম নিচু ও অনেক ছোট। অত্র স্টেশনের যাত্রী ছাউনি এতোটাই ছোট যে দুইটা কোচের বেশি কভার করতে পারে না। ফলে বৃস্টির দিনে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। পার্শ্ববর্তী তিনটি উপজেলার যাত্রী সাধারণ পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনের মাধ্যমে ট্রেন ভ্রমণের সুবিধা পেয়ে থাকে। পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন প্রচুর ক্রসিং সম্পন্ন হয়। যাত্রীবাহী ও মালগাড়ি দীর্ঘ সময় যাবত স্টেশনে থেমে থাকে।বিশেষ করে মালবাহী ট্রেনগুলো ২-৪ঘন্টা যাবত থেমে থাকে। পাঁচবিবি স্টেশনে রানিং রুম না থাকায় ট্রেনে কর্তব্যরত লোকোমাস্টার ও গার্ডগণ তাদের সুবিধামত বিশ্রাম নিতে পারে না। তাই পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনে রানিং রুম নির্মাণ খুবই জরুরি। পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনের তিন নাম্বার ডুয়েল গেজ ইয়ার্ড লাইনের ক্রসিং পয়েন্ট এ মিটার গেজ অংশ সংযোগ না করায় এক নাম্বার বা দুই নাম্বার লাইনে মিটারগেজ ট্রেন অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকে ফলে ২ নাম্বার প্লাটফর্ম এ যাত্রীদের যাওয়া আসায় চরম বিঘœ ঘটে। ওভার ব্রীজের সাথে ২নং প্লাটফর্ম সংযুক্ত না থাকায় বিশেষ করে নারী ও শিশুদের খুবই কষ্ট ভোগ করতে হয়। তবে যার কথা না বললেই নয় পাঁচবিবির কৃত সন্তান জয়পুরহাট-১আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট সামছুল আলম দুদু’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী বিভাগীয় অডিট কর্মকর্তা মোঃ গোলাম রব্বানী বাবুর সহযোগিতায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ইতিমধ্যে ওভার ব্রীজ নির্মিত হয়েছে ফলে পাঁচবিবি উপজেলাবাসী সহ পার্শ্ববর্তী তিনটি উপজেলার যাত্রী সাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর দাবী পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশন অন্যান্য স্টেশনের মত আধুনিক মানসম্মত স্টেশনে রূপান্তর করা হোক। এবং উক্ত সমস্যা গুলি দ্রত সমাধানের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় রেলমন্ত্রীর নিকট এলাকাবাসী আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।