চট্টগ্রামের আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতকে ঘীরে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সমুদ্র তীরবর্তী আনোয়ারা উপকূল সুরক্ষায় পারকি সমুদ্র সৈকত থেকে সাঙ্গুর মোহনা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ মিটার উঁচু করে সুপার ডাইক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া সিইউএফএল থেকে পারকি বাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বঙ্গবন্ধু টানেল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে তৈরী করা হবে আরসিসি সড়ক। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপকূল সুরক্ষায় নদীর তীর সংরক্ষণ ও সমুদ্র ডাইক সংরক্ষণ করা হবে ১১ দশমিক ৬৫২ কিলোমিটার। এর মধ্যে পারকি সমুদ্র সৈকত থেকে গহিরা বার আউলিয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারসহ শিকলবাহা ও সাঙ্গুর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরী করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮২ কোটি টাকা। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে। সূত্র আরও জানায়, আনোয়ারায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূল বেড়িবাঁধ ছিল সিইউএফএল থেকে পারকি বাজার পর্যন্ত। ১৯৬২ সালে এ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু টানেল কর্তৃপক্ষ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে সিইউএফএলের জায়গাটা টানেলের সংযোগ সড়কের জন্য প্রয়োজন হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবে সিইউএফএল থেকে পারকি বাজার পর্যন্ত দুইপাশে অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদ করে টানেল কর্তৃপক্ষ আরসিসি সড়ক তৈরী করে দিবে। প্রকল্পের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় কুমার ত্রিপুরা বলেন, পারকি সমুদ্র সৈকত নিয়ে আমাদের একটা স্বপ্ন আছে। সৈকতের আশেপাশের এলাকা সুরক্ষা করতে না পারলে সাগরের পানি ডুকে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাবে তখন কোন পর্যটক পারকি সৈকতে যেতে পারবে না। পারকি সমুদ্র সৈকত থেকে সাঙ্গুর মোহনা গহিরা বারআউলিয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার। বর্তমান প্রকল্প থেকে ৫ কিলোমিটার নতুন প্রকল্প থেকে ৩ কিলোমিটারসহ মোট ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সাথে সুপার ডাইকের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে মার্চের দিকে একটা দৃশ্যমান কাজ দেখা যাবে। এ ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের উপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এইসবিবি সড়ক করে দেওয়া হবে।