জেলা পর্যায়ে আবারও শুরু হচ্ছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়ার কার্যক্রম। দ্বিতীয় ধাপে ৪৭টি জেলা শহরে কেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেয়া হবে। আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম। বর্তমানে ৩৭টি জেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। গত রোববার (২১ নভেম্বর) এ তথ্য জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরের অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। যারা প্রথমধাপে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের তথ্য নতুন করে সংশোধন করে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রেখে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩৫টি জেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুইএকদিনের মধ্যে এসব জেলার বাকিদের টিকাদান সম্পন্ন হবে।
অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরো বলেন, অন্যান্য জেলার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগ কাজ করছে। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শেষে সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান শুরু করা হবে। শুরুতে প্রতিটি জেলা শহরে কেন্দ্র করে টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়েও টিকা কেন্দ্র করা হবে। এ পর্যন্ত ৩৪টি জেলার শিক্ষার্থীদের তথ্য আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যখন যে জেলার তথ্য আসছে সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। গত ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরের আটটি স্কুলে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে দিনে পাঁচ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও সে লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিটি কেন্দ্র দুই থেকে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে নতুন করে আরও একটি কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৩৫টি জেলা শহরে গত ১৫ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ পর্যন্ত দুই লাখ পাঁচ হাজার ৯৩১ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব জেলায় আরও ৭০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর টিকাদান বাকি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাদের টিকার আওতায় আনা হবে। বাকি জেলাগুলোতে টিকা কার্যক্রম দ্রুত সময়ে শুরু করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের বয়স ১৭ বছরের মধ্যে থাকায় ইতোমধ্যে টিকা পেয়ে গেছে। যাদের বয়স ১৮ বছর তারা নিবন্ধন করে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের টিকা কার্যক্রম চলবে। এরপর থেকে জেলা শহরে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। সারাদেশে টিকা পাওয়ার উপযোগী এক কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থী আছে। এদের মধ্যে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত কতজন টিকা নিয়েছে সে তথ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাউশিতে পাঠানো কথা। তবে সব জেলার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত দেশের ৩৪টি জেলার শিক্ষার্থীদের টিকার তথ্য এসেছে, সেগুলো আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।