আরও খেলবেন কি না তা মাশরাফি নিজে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্ত জানাননি। এ ব্যাপারে কোন প্রাথমিক ধারণাও দেননি সংবাদমাধ্যমে। মাঝে থেমে গিয়েছিল এই আলোচনা। তবে গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এরপর ফের শুরু হয়েছিল নানান গুঞ্জন, বলাবলি শুরু হয়, এবার ক্রিকেট ছেড়ে দেয়া উচিৎ মাশরাফির। করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রিকেট বিষয়ক আলোচনা থেমে ছিল প্রায় দুই মাস। এখন আবার ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে এ আলোচনা। সেখানেও বাদ নেই মাশরাফির অবসর বিষয়ক কথাবার্তা।
এবার সরাসরি জাতীয় দলের নতুন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনই বলছেন, মাশরাফির উচিৎ খেলা ছেড়ে দেয়া। এর পেছনে অবশ্য যুক্তিও রয়েছে তার। গিবসনের মতে, যেহেতু হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় মাশরাফি নেই, তাই এখন আর খেলারও মানে নেই তার।
জাতীয় একটা দৈনিকের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। ওটিস গিবসন বলেছেন, ‘আমি মনে করি মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অসাধারণ। সে নিজেকে এবং পুরো দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপ যেহেতু সামনে, যেকোন কোচই তা নিয়ে ভাবছে এখন। আমি নিশ্চিত রাসেলও (ডোমিঙ্গো) তাই করছে।’
‘তাই সে (ডোমিঙ্গো) হয়তো হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শফিউল ইসলাম এবং এবাদত হোসেনদের মতো তরুণদের দিকেই বেশি আগ্রহী হবে। আমরা এখনও এবাদতকে সাদা বলের ক্রিকেটে দেখিনি। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও খালেদ আহমেদও সুস্থ হয়ে ফিরেছে। দেশে অনেক তরুণ প্রতিভা রয়েছে।’
যেহেতু হেড কোচ তরুণদের দিকেই বেশি ঝুঁকবেন, তাই মাশরাফিকে শেষের পথ দেখে নেয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন হেড কোচ গিবসন। একইসঙ্গে দলের বাইরে থেকেও তরুণ পেসারদের জন্য মাশরাফিকে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে দেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন গিবসন।
তার ভাষ্য, ‘আমি জানি না রাসেলের ভবিষ্যতের জন্য গড়া নতুন দলে মাশরাফির কী ভূমিকা থাকতে পারে। বরং এখনই তার সময়। বিশ্বে যা হচ্ছে, তার সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়া। সে নিজের অভিজ্ঞতা তরুণদের মাঝে দেয়ার জন্য অন্য কোন পথ বেছে নিতে পারে। আমি মনে করি না এটি করার জন্য তাকে মাঠেই থাকতে হবে। এই বার্তাটা অন্য কোনভাবেও দিতে পারবে মাশরাফি।’
এবারই প্রথম কোচিং প্যানেলের কোন সদস্য মাশরাফিকে অবসরের কথা বললেন। বর্তমানে ২১৮ ওয়ানডেতে মাশরাফির শিকার ২৬৯ উইকেট। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ইনজুরিতে অনেক ম্যাচ মিস করলেও, গত পাঁচ বছরে মাত্র ৫টি ম্যাচ বাইরে ছিলেন তিনি।
এমআর/প্রিন্স