সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নিপুন-নওশাবা-কনকচাঁপাসহ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য হলেন যারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার জন্য অনুসরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন : প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হবে : চিফ প্রসিকিউটর দেশ পুনর্গঠনে মার্কিন সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা এমপি আনার হত্যা মামলা: প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছালো এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যে পড়ে, এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য: শাহরিয়ার নাজিম জয় পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আলোচনা হয়েছে : উপদেষ্টা বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের ঐক্য চাইলেন মামুনুল হক মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা কেজরিওয়ালের

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ৬ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন মালয়েশিয়ায়

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১

চলমান সংকটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ২০২২ সালের মধ্যে মালয়েশিয়ায় ছয় লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন। ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারার্স (এফএমএম) শনিবার (৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, দেশটির শিল্পখাত, বিশেষ করে রপ্তানিভিত্তিক খাতগুলোতে বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আগামী বছরের মধ্যে ছয় লাখেরও বেশি বিদেশি কর্মী দরকার হবে। তাদের ব্যবসাগুলোকে প্রাক-মহামারি স্তরে ফিরিয়ে আনার জন্য তীব্র জনবল সংকটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিদেশি কর্মীদের ওপর বর্তমান স্থবিরতা প্রত্যাহার করার জন্য সংগঠনটি মালয়েশিয়ান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এফএমএম দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ব্যবসাকে পুনরুজ্জীবনে সরকারের সহায়তা পাওয়ার আশা করছে। এফএমএম সভাপতি তান শ্রী সোহ থিয়ান লাই বলেছেন, যদি জরুরি জনবলের প্রয়োজনীয়তার দ্রুত সমাধান করা না হয়, তাহলে এ কারণেই উৎপাদন শিল্পগুলোর পুনরুদ্ধার বিঘিœত হতে পারে। জনশক্তি ঘাটতির বিষয়টি দুটি সা¤প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে জানিয়ে তান শ্রী সোহ বলেছেন, অক্টোবরের শুরুতে মালয়েশিয়ার ২৫২টি কোম্পানির জনবলের চাহিদার ওপর সমীক্ষা করে প্রায় ২২ হাজার শ্রমিকের ঘাটতি পাওয়া গেছে। সমীক্ষায় নি¤œ/অদক্ষ সাধারণ কর্মী বিভাগে প্রায় ১৪ হাজার এবং প্রায় ৭ হাজার দক্ষ সাধারণ কর্মী, প্রযুক্তিবিদ, যন্ত্রবিদ এবং প্রকৌশলীর ঘাটতি পাওয়া গেছে। খাদ্য ও পানীয়, রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য, তৈরি ধাতু এবং রাবার পণ্যের মতো শীর্ষ পাঁচটি উৎপাদনকারী উপ-খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে। সোহ বলেছেন, কেবল ২৫২টি কোম্পানির সমীক্ষায় এই ঘাটতি পাওয়া গেছে যেখানে এফএমএম’র তালিকাভুক্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি উৎপাদনকারী কোম্পানি রয়েছে। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে কর্মীর ঘাটতি অনেক বেশি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, একই ধরনের আরেকটি সমীক্ষা পরিচালনা করে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। তারা ৮৩৫টি কোম্পানির ওপর সমীক্ষা চালিয়ে ৭৭ হাজার ৭২১ জন শ্রমিকের ঘাটতি খুঁজে পেয়েছিল।
সোহ বলেছেন, মহামারিকালে দেশটির উৎপাদন খাতে ৪৪ শতাংশ বিদেশি কর্মী কমেছে। এ খাতে দেশটিতে এখন ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৩১ জন বিদেশি কর্মী আছেন যেখানে ২০১৯ সালে ৬ লাখ ৯৭ হাজার ১২৪ জন বিদেশি কর্মী ছিলেন। তিনি বলেন, এই ঘাটতিটি মূলত শ্রমিকদের কারণে। মহামারি চলাকালে যারা নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন এবং যাদের কর্মসংস্থানের পারমিটের শর্তাদির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিনি দীর্ঘমেয়াদে বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরতা কমাতে কাঠামোগত নীতি পরিবর্তনসহ সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করার ওপরও জোর দেন।-জাগোনিউজ২৪.কম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com