বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একাকার উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এক। তাকে বন্দী করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বন্দী করা হয়েছে। তাকে বন্দী করে গণতন্ত্রকে বন্দী করা হয়েছে। তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, সেই ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা মামলায়। তাকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাকে এই সাজা দেয়া হয়েছে। যেখানে লোয়ার কোর্ট থেকে দেয়া হয়েছিল ৫ বছর। হাইকোর্টে দেয়া হয়েছে ১০ বছর। এতেই বোঝা যায় কীভাবে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করছে। কীভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করছে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই রাষ্ট্রকে এক দলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ কারণে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপি নেত্রী বলে আমরা বলছি না, বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, আপসহীন ভূমিকার জন্য দেশের মানুষ তার মুক্তি চায়। ফখরুল বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে। এই উন্নয়ন কাদের হচ্ছে? সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। সেই জন্য দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে সেই জন্য বলছি না। এই সরকারকে সরাতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি বিএনপির ভুল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পান না। সারাক্ষণ শুধু দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকেন। শুধু বিএনপি-বিএনপি-বিএনপি। আপনারা বলে থাকেন বিএনপি নাকি নাই, বিএনপি যদি নাই থাকে তাহলে বিএনপিকে নিয়ে এত দুঃস্বপ্ন দেখেন কেন?
উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।