শুল্ক ফাঁকির মামলায় নতুন করে কারাগারে যেতে হবে না বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুন উর রশিদকে। শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা নিয়ে পরে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপি’র এমপি হারুনের আপিল আবেদনটি খারিজ করে এ আদেশ দেন আদালত। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এমপি হারুন জানিয়েছেন, এর ফলে নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের সাজা বহাল নেই। এমপি হারুন বলেন, বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোঃ সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া আদালত মামলার অপর দুই আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেকের সাজাও বহাল রেখেছেন। তবে তাদেরও নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না।
এমপি হারুন বলেন, নিম্ন আদালতে আমাদের যে পাঁচ বছরের সাজা ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল তা বহাল না রেখে উচ্চ আদালত শুধুমাত্র আমরা যে কয় দিন কারাগারে ছিলাম তা বহাল রেখেছেন। তাই আমাদের নতুন করে জেলে যেতে হবে না এবং কোনো জরিমানা দিতে হবে না। তবে যে সময়টা সাজা বহাল রাখা হয়েছে ,তার বিরুদ্ধে আমি আবারো আপিল করবো। জানা গেছে, এ মামলায় তিন আসামির কারাভোগের সময়কালকে (১৬ মাস) সাজা হিসেবে গণ্য করে তাদের আপিল খারিজ করেন হাইকোর্ট। ফলে সাজা বহাল থাকলেও এমপি হারুনকে নতুন করে কারাভোগ করতে হবে না। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর এমপি হারুন অর রশিদ এমপিকে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম ওই রায় দেন। পরে ঢাকার বিশেষ আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এমপি হারুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়। মামলার বাদি পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী। পরে মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।