দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার বিষাপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশ, দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী সহ পথচারীরা। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি খেলাধুলায় উপজেলার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়, এছাড়াও উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়টি এগিয়ে নিতে কাজ করছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হানিফ লস্কর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামীন পরিবেশ ও রাস্তার পাশে বিষাপাড়া আদর্শ বিদ্যালয়। ১৯৮৪ সালে ৫ জন শিক্ষক ও ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।বর্তমান ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৩৫০ জন জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে স্কুলটি চলছে। স্কুলটির চারপাশে প্রাচীরে ঘেরা। প্রাচীরের পাশ দিয়ে লাগানো আছে বিভিন্ন জাতের ফুল, ফল ও পাতা বাহারের গাছ, দেখে মনে হবে একটি ছোট পার্ক। রয়েছে একটা খেলার বড় মাঠ। এমাঠের বিশেষ দিক দুবড়া ঘাসে পুরো মাঠ ছেয়ে গেছে, মাঠে পা রাখলে একটা আলাদা অনুভুতি উনুভব করা যাবে। স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে কোন বেতন কিংবা সেশন ফিও নেওয়া হয় না। ১৯৯৮ সালে জুনিয়ার ও ২০০০ সালে স্কুলটি এমপিও ভুক্ত হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গত দেড় বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বিদ্যালয় কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এখানকার লিখাপড়া, পরীক্ষার ফলাফল, নিয়মনীতি ও পরিবেশ তৈরি করছেন অতুলনীয়। এই বিদ্যালয় থেকে বেড় হয়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা বড় সরকারি কর্মকর্তা হয়েছে। ১০ শ্রেণীর ছাত্রী লাইলা খাতুন বলে, আমি এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণী হতে লিখাপড়া করে আসছি। আমাদের এই স্কুলের পরিবেশ অনেক ভাল। স্যাররাও আমাদের অনেক আন্তরিকতার সাথে শিক্ষা দিয়ে আসছেন। এই স্কুলে পড়তে পেরে নিজে ধন্য মনে করছি। ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ছামিউল ইসলাম বাপ্পি বলে, আমাদের স্কুলের মাঠটি অনেক সুন্দর। স্কুল শেষে মাঠে আমরা খেলাধুলা করি। স্যারও আমাদের অনেক ভালবাসেন,্ এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি হানিফ লস্কর বলেন, আমি গত দেড় বছর যাবৎ এই স্কুলের দায়িত্ব নিয়েছে। আমি সৌখিন মানুষ, তাই এই স্কুলটার একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি করবো, আমি এই লক্ষে কাজ করছি। স্কুলের পূর্ব পাশে একটা চারতলা ভুবন নির্মাণের কাজ হাতে পেয়েছি, ভুবনটি হলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক উপকৃত হবে। স্কুলের চারপাশে নানান জাতের ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়েছি। স্কুলটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং মানগত শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছি আমি।