মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নাঙ্গলকোটের ফজলুল হক খিরা চাষ করে লাভবান হয়েছেন

বাসস:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২

কুয়াশা ঝরা কনকনে শীতের সকালে কৃষক ফজলুল হক শীতে জুবুথুবু হয়ে তার ছেলে মুরাদকে নিয়ে ক্ষেত থেকে খিরা তুলছেন। খিরা তুলে বস্তায় ভরে বাজারে বিক্রির জন্য ভ্যান গাড়িতে তুলছেন। একদিন পরপর ক্ষেত থেকে খিরা তুলে স্থানীয় বাঙ্গড্ডা বাজারে ব্যবসায়ীদের নিকট পাইকারি দরে খিরা বিক্রি করেন। কৃষক ফজলুল হক ইতোমধ্যে খিরা চাষ করে লাভের মুখ দেখে একজন সফল কৃষক হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন। সফল কৃষক ফজলুল হকের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাছি গ্রামে। চলতি মৌসুমে ২০ শতক জমিতে খিরার আবাদ করেন। স্থানীয়ভাবে খিরার দামও ভালো পাচ্ছেন।
কৃষক ফজলুল হক বাসসকে জানান, বাংলা আশ্বিন মাসের শেষ দিকে খিরা ক্ষেত তৈরি করে বীজ বপন, আগাছা পরিষ্কার, সার, কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করার দেড় মাসের মধ্যে ফলন তোলা শুরু হয়। প্রায় এক মাস পর্যন্ত খিরা বিক্রি করেন। খিরা চাষে শ্রম আছে। ক্ষেত তৈরি, খিরার চারা উঠার পর ঘুঘু পাখির হাত থেকে চারা রক্ষা করা, আগাছা পরিস্কার করতে হয়। এছাড়া খিরা গাছের পাতা কুচকে যাওয়া, লেদা পোকার আক্রমণ, পাতা পচা রোগ দেখা দেয়। সর্বশেষ ভাইরাসের আক্রমণে গাছ হলুদ হয়ে আস্তে-আস্তে মরে যায়। চোরের হাত থেকে খিরা ক্ষেত রক্ষায় রাতে পাহারা দিতে হয়। চোরের দল খিরা চুরি করতে গিয়ে ক্ষেত মাড়িয়ে ফেলে। সবদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়। তিনি আরো জানান, ক্ষেত থেকে একদিন পর-পর খিরা উত্তোলন করেন। প্রতিবার ৮ থেকে ৯ মণ খিরা উত্তোলন করেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর খিরার দাম ভালো। প্রতিমণ খিরা প্রথম দিকে ১৮শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। পরে প্রতিমণ ১৫শ, ১৬শ, ১২শ টাকা বিক্রি করছেন। শেষ দিকে খিরা ছোট হলে দামও কমে যায়। বর্তমানে খিরা ক্ষেত হলুদ হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। যদি নষ্ট না হতো তাহলে আরো ৩ থেকে ৪ বার খিরা তোলা যেত।
ফজলুল হক চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০ মণ খিরা উত্তোলন করে প্রায় ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখেছেন। কৃষক ফজলুল হকের ছেলে মুরাদ হোসেন ২০১৪ সালে এসএসসি পাস করেন। এখন বাবার সহযোগী হিসেবে নিয়মিত খিরা চাষে কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বাসসকে বলেন, কৃষকরা আমাদেরকে তাদের যে কোন সমস্যার কথা বললে সাথে-সাথে আমরা মাঠে উপস্থিত হয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষক ফজলুল হককে আমরা সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এছাড়া আমাদের স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও তাকে নিয়মিত সহযোগিতা করছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com