প্রথমবারের মত নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে সব ধরণের জনদূর্ভোগ দুর হয়ে বর্তমানে জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে। এতে অফিসের অতীতের চেয়ে সব ধরণের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। নেই জনগণের ভিড়, বস্তাবন্দী ফাইল, নেই কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি। মঙ্গলবার অফিসে গিয়ে এমনটাই দেখাগেছে। সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, অফিসে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সেবা দেয়ার মননশীলতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে স্বচ্ছতা। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুল ইসলাম এর সততা, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার কথা শোনা গেছে। ওনার কর্মতৎপরতা, ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের করে ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা ও নামজারিসহ অন্যান্য সেবা এখন মিলছে খুব সহজেই। এছাড়াও অনুমোদিত মিউটেশন খতিয়ান গুলো পৌরসভা/ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মৌজা অনুযায়ী সাজিয়ে ভলিউম আকারে বাঁধাই করা হয়েছে। এতে যেকোন নাগরিক জমির খতিয়ান যাচাই বাছাই করতে পারাসহ জমি ক্রয়ের পূর্বে স্বত্ব যাচাই করতে চাইলে খতিয়ান বা নামজারি কেস নম্বর দিয়ে সহজেই যাচাই করতে পারছেন। কোর্ট ফি যাচাই করে আবেদনপত্র গ্রহণের ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না। একজন সেবাগ্রহিতা অফিসের সততা স্টোরের নির্ধারিত মুল্যে আবেদন ও কোর্ট ফি কিনে নিতে নিতে পারছেন। অফিসের সামনেই টাঙানো হয়েছে সিটিজেন চ্যাটার এবং এসিল্যান্ড মহোদয়ের মুঠোফোন নাম্বার। এর মাধ্যমে সেবা গ্রহিতারা ভূমি অফিসের যেকোন নিয়ম-কানুন, খাজনা-খারিজ, পর্চা, রেকর্ড সংশোধন, জমি সর্ম্পকিত যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারছেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুল ইসলাম যুগান্তর কে বলেন, যোগদানের পর জাতীয় উন্নয়ন মেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সংক্রান্ত গ্রহিত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। ভুমি অফিস দালাল ও ঘুষমুক্ত রাখার চেস্টা করছি। অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দুই মাসে কোন প্রকার উৎকোচ ছাড়াই প্রায় ৬শত‘র উপরে নাম খারিজ দিয়েছি। সরকার হচ্ছে জনগণের সেবক এবং আমরা সরকারে অংশ হিসাবে জনগণের ভূমি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।