শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

মহেশখালীতে বোরো চাষে ব্যস্ত প্রান্তিক কৃষক তীব্র শীত উপেক্ষা করে মাঠে চাষীরা

কাইছার হামিদ মহেশখালী :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

মাঘের তীব্র শীতে বেড়েছে কুয়াশা। তারপরও দ্বীপের প্রান্তিক চাষীরা বোরো চাষে চারা রূপনে ব্যস্ত তাঁরা। দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে প্রচুর উৎসবের আমেজ। হাড়কাঁপানো শীতে বেড়েছে কুয়াশা ও শীতের দাপট। কিন্তু যারা মাঠে সোনার ফসল ফলাবে তাদের স্থবিরতা নেই। কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশাকে দেখিয়ে কাকডাকা কাকডাকা বৃদ্ধাঙ্গুলি ভোরে উঠে কাদামাখানো জমিতে স্বপ্ন বুনছেন মহেশখালীর কৃষকরা। বোরো ধান লাগানো নিয়ে গ্রামে গ্রামে এখন চলছে উৎসবের আমেজ। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন হার মানে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতের এ মৌসুমে কুয়াশাঢাকা ভোরে দৃষ্টি আটকে যায় কয়েক হাত সামনের কুয়াশায়। এর মধ্যেই বাড়িসংলগ্ন ভিটায় (ছোট আকারের উঁচু জমি) ধানের চারা তুলছেন কৃষাণী ও পরিবারের শিশু-কিশোররা। পুরুষরা কাঁধে ভার করে ধানের চারা নিয়ে যাচ্ছেন বিলে। রূপনের পূর্বে শ্রমিকরা সার ছিটাচ্ছেন জমিতে। কেউ চাষ দেয়া জমির ঘাস পরিষ্কার করছেন। সারিবদ্ধভাবে লাগানো হচ্ছে ধানের চারা। হালকা হিমেল বাতাসে দুলছে সদ্য লাগানো ধানের চারা। দোল খাওয়া ধানের চারায় কৃষকেরা আঁকছেন আগামীর রঙিন স্বপ্ন। চারা বড় হবে, ফসলে ভরে উঠবে তার গোলাভরা ধান। কালারমারছড়া উত্তর নলবিলা গ্রামের আব্দু সাত্তার নামের একজন কৃষক জানান, আমাদের বিলে যে ফসল হয়, এ ফসল দিয়ে পরিবারেড়র সারা বছরের খাবার যোগায়য়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলাতে সাত হাজার হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ হবে চার হাজার ৪ শত চল্লিশ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করা হবে দুই হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে। স্থানীয় জাতের ধান চাষ হবে ১০০ হেক্টর জমিতে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহেশখালীর উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, বোরো লাগানোতে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকেরা। কোনো সমস্যা না হলে প্রতিটি জাতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com