২০৪০ সালে জাপানে প্রায় ৭০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। বর্তমানের চেয়ে যা চারগুণ বেশি। দেশটির একটি সাহায্য সংস্থার সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বৃহস্পতিবার এই সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। দেশটির অধিকাংশ কর্মী আসে শুধু ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে। তবে এসব দেশের অর্থনীতি অনেকটা উন্নতির দিকে। তাই ভবিষ্যতে এতো বেশি কর্মী আকৃষ্ট করতে দেশটি সমস্যার সম্মুখীন হবে। নতুন প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, চলমান প্রক্রিয়ায় ২০৪০ সালে জাপানে চার লাখ ২০ হাজার কর্মীর ঘাটতি দেখা যাবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সরকার দেশটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রোগ্রাম প্রসারিত করার দিকে নজর দেওয়ার পর এমন তথ্য পাওয়া গেলো। এরই মধ্যে জাপান কর্মীদের স্থায়ী বসবাসের জন্য নাগরিকত্ব দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ধরনের প্রচেষ্টা বিদেশি কর্মীদের আকৃষ্ট করতে পারে।
বিদ্যমান পদক্ষেপগুলো কার্যকর হয়েছে ২০১৯ সালে। এতে নির্মাণ ও জাহাজ শিল্পের কর্মীদের স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ম্যানুয়াল (কায়িক শ্রম) কর্মীরা এ ধরনের সুবিধা পাবে না। জাইকার সমীক্ষায় ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, জাপানের সীমাবদ্ধ অভিবাসন নীতি বিদেশি কর্মীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করছে।
অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত জাপানে ১৭ লাখের বেশি বিদেশী কর্মী ছিল। যার মধ্যে প্রায় তিন লাখ ৫০ হাজার সরকার অনুমোদিত প্রশিক্ষণার্থী প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিল। তাছাড়া আরও তিন লাখ ৩০ হাজার বা তার বেশি পার্ট-টাইমকর্মী ছিল। যারা ছিল প্রধানত বিদেশি শিক্ষার্থী। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের দেশের অর্থনীতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকরা বিদেশে চাকরি করতে বেশি আগ্রহী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষণার পূর্বাভাসে আরও বলা হয় জাপান এখন থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার চেয়ে মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ার কর্মীদের আকৃষ্ট করবে।