বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ যাতে থামাতে না পারে, সেজন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩২তম জাতীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গাজীপুরে আনসার একাডেমির সমাবেশে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি লোকও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। আজকে তা বাস্তবায়ন হয়েছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, সবাই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
‘২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করে দিয়েছি, যাতে বাংলাদেশ অগ্রযাত্রা কেউ কখনো থামাতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাব। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে’, বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। দেশের উন্নয়ন মানেই প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় আছে বলেই সরকার উন্নয়ন করতে পারছে। আর উন্নয়ন করতে পেরেছে বলেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এ মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। এ সময় আনসারদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে আনসার সদস্যরা ভূমিকা রাখছে। ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে আনসার সদস্য আব্দুল জব্বার। মুক্তিযুদ্ধের মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দিয়েছে। দেশের সব উন্নয়ন কার্যক্রমে এলাকায় নিরাপত্তা দেয় আনসার সদস্যরা।
তিনি বলেন, ২০১৩/১৪ সালে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস দমনে ভূমিকা রেখেছে আনসার সদস্যরা। সেবা ও সাহসিকতা পদক পেয়েছে ১৬২ জন। আনসারদের জন্য সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অফিসারদের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আনসারদের রেশনের সঙ্গে অতিরিক্ত ডাল-চিনি দেওয়া হচ্ছে। বেতন বৈষম্য দূর করা হয়েছে। এই বাহিনীর উন্নয়নের জন্য আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট গঠন করা হয়েছে। এ সময় সারাদেশে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করে সংগঠনের সদস্যদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান।