মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জাতীয় পার্টির সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। গত শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মৃত্যু হয় তার। সৈয়দ কায়সারের ছোট ভাই ফয়সালের বরাত দিয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আল আমিন ও রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৈয়দ হায়দার জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তসহ সব কাজ শেষ করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। এরপর হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার করেনোয়াপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে, ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কায়সারকে মৃত্যদ- দেয়। ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদ- দেয়া হয় তাকে। এছাড়া অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যার চারটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদ- এবং তিনটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে ২২ বছরের কারাদ- দেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ- বহাল রেখে রায় দেন। এর পর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় কায়সারের পক্ষে মৃত্যুদ- থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছিলেন আইনজীবী তানভীর আল আমিন। এরপর সৈয়দ কায়সার অসুস্থ হয়ে প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২০১৩ সালের ১৫ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় তাকে জামিন দেয়া হলেও ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার দিন তাকে কারাগারের কনডেম সেলে পাঠানো হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুরের ইটাখোলা গ্রামের সৈয়দ সঈদউদ্দিন ও বেগম হামিদা বানুর ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের জন্ম ১৯৪০ সালের ১৯ জুন।