মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

দ্বিন প্রচারে আবেগের স্থান নেই

মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

সাফওয়ান ইবনে মুহরিজ বলেন, ৭৩ হিজরিতে যখন আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর সঙ্গে হাজ্জাজের ফিতনা চলছিল, তখন জুনদুব (রা.) আশআস ইবনে সালামাহকে ডেকে বলেন, তোমার কিছু বন্ধুকে একত্র করো; আমি তাদের সঙ্গে কিছু কথা বলব। আশআস তাদের কাছে লোক পাঠালেন। তারা সমবেত হওয়ার পর জুনদুব (রা.) তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি তোমাদের কাছে নবী (সা.)-এর কিছু হাদিস বর্ণনা করতে চাই। তা হলো: একবার রাসুল (সা.) মুসলমানদের একটি বাহিনী মুশরিকদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলেন।
নির্ধারিত স্থানে উভয় দল মুখোমুখি হলো। মুশরিকদের মধ্যে একটা লোক ছিল বড়ই দুর্র্ধষ। সে যখনই কোনো মুসলমানকে হত্যা করার ইচ্ছা করত, তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত এবং তাকে শহীদ করে ফেলত। এভাবে সে অনেক মুসলমানকে শহীদ করল।
উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) তাকে খতম করার সুযোগ খুঁজতে লাগলেন। এক পর্যায়ে তিনি তার ওপর তলোয়ার উত্তোলন করলেন। এমন মুহূর্তে সে বলল, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ’ উসামা (রা.) কিছুই মানলেন না। তলোয়ারের আঘাতে তাকে হত্যা করে ফেলেন। মুসলমানরা জয়যুক্ত হলো। এ সুসংবাদ রাসুল (সা.)-এর কাছে এলো এবং উসামা (রা.)-এর কৃতিত্বের কথাও বলা হলো। রাসুল (সা.) উসামা (রা.)-কে ডাকলেন এবং তাঁর থেকে বিবরণ শোনার পর বলেন, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পর কি তুমি তাকে হত্যা করে ফেললে? তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, সে তো আমাদের অমুক অমুককে হত্যা করেছে? রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিবসে যখন এই কালিমা উপস্থিত হবে, তখন তুমি কী করবে? উসামা (রা.) সঙ্গে সঙ্গে বিচলিত হয়ে পড়লেন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করুন। রাসুল (সা.) বারবার এ কথাটিই বলতে থাকলেন, কিয়ামতের দিন যখন এই কালিমা উপস্থিত হবে, তখন তুমি কী করবে? (মুসলিম শরিফ : ১/৬৮)




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com