সাফওয়ান ইবনে মুহরিজ বলেন, ৭৩ হিজরিতে যখন আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর সঙ্গে হাজ্জাজের ফিতনা চলছিল, তখন জুনদুব (রা.) আশআস ইবনে সালামাহকে ডেকে বলেন, তোমার কিছু বন্ধুকে একত্র করো; আমি তাদের সঙ্গে কিছু কথা বলব। আশআস তাদের কাছে লোক পাঠালেন। তারা সমবেত হওয়ার পর জুনদুব (রা.) তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি তোমাদের কাছে নবী (সা.)-এর কিছু হাদিস বর্ণনা করতে চাই। তা হলো: একবার রাসুল (সা.) মুসলমানদের একটি বাহিনী মুশরিকদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলেন।
নির্ধারিত স্থানে উভয় দল মুখোমুখি হলো। মুশরিকদের মধ্যে একটা লোক ছিল বড়ই দুর্র্ধষ। সে যখনই কোনো মুসলমানকে হত্যা করার ইচ্ছা করত, তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত এবং তাকে শহীদ করে ফেলত। এভাবে সে অনেক মুসলমানকে শহীদ করল।
উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) তাকে খতম করার সুযোগ খুঁজতে লাগলেন। এক পর্যায়ে তিনি তার ওপর তলোয়ার উত্তোলন করলেন। এমন মুহূর্তে সে বলল, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ’ উসামা (রা.) কিছুই মানলেন না। তলোয়ারের আঘাতে তাকে হত্যা করে ফেলেন। মুসলমানরা জয়যুক্ত হলো। এ সুসংবাদ রাসুল (সা.)-এর কাছে এলো এবং উসামা (রা.)-এর কৃতিত্বের কথাও বলা হলো। রাসুল (সা.) উসামা (রা.)-কে ডাকলেন এবং তাঁর থেকে বিবরণ শোনার পর বলেন, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পর কি তুমি তাকে হত্যা করে ফেললে? তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, সে তো আমাদের অমুক অমুককে হত্যা করেছে? রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিবসে যখন এই কালিমা উপস্থিত হবে, তখন তুমি কী করবে? উসামা (রা.) সঙ্গে সঙ্গে বিচলিত হয়ে পড়লেন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করুন। রাসুল (সা.) বারবার এ কথাটিই বলতে থাকলেন, কিয়ামতের দিন যখন এই কালিমা উপস্থিত হবে, তখন তুমি কী করবে? (মুসলিম শরিফ : ১/৬৮)