জেলায় আকস্মিক শিলাবৃষ্টির কারণে ফসল ও আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে পর থেকে রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া শুরু হয়। বৃষ্টি চলে থেমে থেমে। জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া, ভুল্লি, ঢোলারহাটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দমকা হাওয়াসহ ব্যাপক শিলা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
আম বাগানী শরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন জানান, এবার বেশ ভালো মুকুল এসেছিলো। শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে মুকুলের ক্ষতি হলো। তবে শিলাবৃষ্টিটা একটু অস্বাভাবিক ছিলো। প্রচুর শিলা পেড়েছে। এতে বাগানের আমের মুকুলের ও বাগানের ক্ষতি হয়েছে।
আকচা এলাকার কৃষক আকবর আলী জানান, বৈশাখের আগেই এবার ঝড় শুরু হয়েছে। ফলে ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও গরমের আগাম সবজিরও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টি এক প্রকার মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, এলাকার ব্যবসায়িদের শিলাবৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আমের মুকুল, ভুট্টা ও গমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি সুনির্দিষ্ট পরিমান জানতে ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। আর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের পর কত ক্ষতি তা জানানো যাবে। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের জন্য লিখবো বলেও জানান এ কৃষিবিদ।