২০১৯ এবং ২০২০ অর্থ বছরে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারী হতে ফলুয়ারচর ঘাট ও রাজিবপুর উপজেলার সদর (মেম্বার পাড়া) হতে মহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ব্রম্মপুত্র নদের বামতীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থা কুড়িগ্রাম পওর বিভাগ, বাপাউবো, কুড়িগ্রামের আওতায় ব্রম্মপুত্র নদের বামতীর রক্ষাবাঁধের কাজ ৭.৩ কিলো মিটারের বিপরিতে ৪৭৯ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত মূল্য ব্যায়ে ১৫টি প্যাকেজের মধ্যে আরএফএল কোম্পনির ৪টি, স্টার্ন্ডাড কোম্পানির ৪টি, তাজ মঞ্জিলের একটি, জেডিএমএম বিল্ডার্স একটি, মের্সাস ডন করপোরেশন এন্ড সানফ্লাওয়ার কোম্পানি একটিসহ ১৫টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ গুলি পায়। আর এফএল কোম্পানির দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম (এমসি) সুত্রে জানা গেছে, ১,৬,৭ ও ৯ নং ১১০০ মিটার প্রায় (১ কিলোমিটার) কাজের মোট বরাদ্দ প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। বোল্ডারিং, ডাম্পিং বস্তা ভর্তি ও কাস্টিং কাজ শেষের দিকে এবং এবছরেই প্লেসিং কাজ শেষ করে ডাম্পিং এর কাজও শেষ করবে বলে দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে স্টার্ন্ডাড কোম্পানির ৪টি, তাজ মঞ্জিল, জেডিএমএম বিল্ডার্স, মের্সাস ডন করপোরেশন এন্ড সানফ্লাওয়ার কোম্পানিও দ্রুত কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এবিষয়ে তীর সংরক্ষণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্টার্ন্ডাড কনস্ট্রাশন লিমিটেডের তদারকিতে থাকা দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার (এমসি) আকতারুজ্জামান, জেভি এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর দায়িত্বে পিএম পিয়াস, মেসার্স ডন কর্পোরেশন এন্ড সানফ্লাওয়ার কনস্ট্রাশন লিমিটেডের তদারকিতে থাকা দায়িত্বরত সাইড ইঞ্জিনিয়ার বাইজিদ বলেন, কাজের গুনগতমান এবং কাজে অনিয়মের কথা জিজ্ঞাস করলে তারা জানান, আমাদের কাজে কোন খারাপ নেই। প্লেসিং এর কাজ চলছে। বন্যার আগেই যাতে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, সেদিকে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার, মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান, আবু বক্কর মাষ্টার, সাবেক ঘাট ইজারাদার আলতাফ হোসেন বলেন, আর এফএল কোম্পানির ৪টি প্যাকেজে স্টার্ন্ডাড কোম্পানির ৪ টি, তাজ মঞ্জিলের একটি জেভিএমএম বিল্ডার্স একটি, মেসার্স ডন করপোরেশন এন্ড সানফ্লাাওয়ার কোম্পানির ব্রম্মপুত্র নদের বামতীর সংরক্ষণের কাজ চলছে। যে ভাবে কাজ চালিয়েছে বন্যার আগে ভাঙ্গন রোধ করতে পারবে কিনা। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানরা বলছে বন্যার আগেই মোটামোটি কাজ শেষ করবে। আমরা চাই দ্রুত কাজ শেষ করে এলাকাবাসী নদের ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাক। কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তারা জানান, আমরা গত ১২ ফেব্রুয়ারী ব্রম্মপুত্রের বামতীর রক্ষাবাধের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কাজ চলমান। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেয়া হয়েছে। যাতে বন্যার আগেই মোটামোটি কাজ শেষ করে নদী ভাঙ্গন রক্ষা করা যায়।