রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নীলফামারীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ টেলিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিল্প নির্দেশক স্বাধীনতা সংগ্রামের ৬ নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম,এ রাজ্জাক(৭৫) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বাদ জোহর ডোমার উপজেলার ভোগড়াবুড়ি ইউনিয়নের নিজ ভোগড়াবুড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম ও পুলিশের একটি চৌকস দল। এরপর তার কফিনে পু®পমাল্য অর্পণ করেন নীলফামারী সদর আসন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের পক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। এরপর জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ দপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, ডোমার পৌরসভার মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু , সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তইবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার কান্তি ভূষণ কুন্ডু, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি হাফিজুর রশিদ প্রামানিক মঞ্জু, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববী সহ সদস্যরা। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে গেছেন। জিএম আব্দুর রাজ্জাক জীবদ্দশায় রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের পাশে বিজয় সরণি মোড়ে স্থাপিত “বিজয় সরণি ফোয়ারা”, নীলফামারীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নীলফামারীর স্বাধীনতা স্মৃতি অ¤¬ান, ডোমারের হৃদয়ে স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভ, পঞ্চগড় জেলার অডিটোরিয়াম, গাজিপুর স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লান সহ অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজের ডিজাইনার ছিলেন।