উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিরামপুর উপজেলার হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাদ্যপন্যের আকার ছোট হয়ে এসেছে। এ নিয়ে ভোক্তারা বাদানুবাদ করলেও হোটেল মালিকরা বলছেন, খাদ্যপন্যের আকার ছোট করা ছাড়া তারা কোন উপায় দেখছেন না। জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলা শহর ও বিভিন্ন হাট বাজারে অর্দ্ধ শতাধিক খাবারের দোকান রয়েছে। ঐসকল দোকানীরা নিজেরাই বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করেন। সম্প্রতি ভোজ্য তেল, চিনি, ময়দা, খড়ি ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দোকানীরা আগের আকারে ভোগ্য পন্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারছেন না। একারণে হোটেলের পরোটা, পুরি, সিংগাড়া, পিঁয়াজি, সমসাসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রির আকার ছোট করে আগের দামে বিক্রি করছেন। শনিবার (৫ মার্চ) শহরের হোটেল রেস্টুরেন্টে গেলে মালিকরা খাদ্য সামগ্রীর আকার ছোট করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আবার কেউ আকার ঠিক রেখে খাদ্যমূল্য দ্বিগুণ করেছেন। শহরের পুরাতন বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, হোটেলের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করতে যেসব উপরণের প্রয়োজন তার সবগুলোরই দাম বেড়ে গেছে। তাই আগের আকারে পন্য তৈরি করে বিক্রি করতে গেলে লোকসানে পড়তে হবে। একারণে তারা আগের দাম ঠিক রেখে খাদ্যপন্যের আকারকেই ছোট করে ফেলেছেন।