দিনাজপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মমতাজ বেগম বলেছেন, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতনতার বিকল্প নেই। কন্যা শিশুদের বয়ঃসন্ধিকালে পিতা-মাতা-শিক্ষকদের বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ করতে হবে। ৬ মার্চ রোববার দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ১২ নং রাজারামপুর ইউনিয়নের কানাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর অর্থায়নে ঝানজিরা সমাজ কল্যাণ সংস্থা (জেএসকেএস)’র আয়োজনে ওয়াই মুভ্্স প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী ইন্টারজেনারেশনাল ডায়ালগ এর উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। ১২ নং রাজারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনজিও ব্যক্তিত্ব মোঃ আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা প. প. কর্মকর্তা এ এল এম মামুনুর রশিদ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সালাম, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রশিদ বাবলু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহম্মেদ। প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন জেএসকেএস এর প্রকল্প অফিসার সাইফুল আলম। মুক্ত আলোচনা অংশ নেন এনসিটিএফ সভাপতি লিমি মার্ডি, সদস্য বিষ্টু হেম্ব্রম, জয়া হেম্ব্রম, শান্তরা টুডু, ইউপি সদস্য মোঃ মোতাহার হোসেন, মিলন চন্দ্র রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেএসকে’র নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ সাদ্দার হোসেন। বক্তারা বলেন, প্রজনন হচ্ছে সন্তান দানের একটি প্রক্রিয়া। শরীরের যে সব অঙ্গ বা অন্ত্র সন্তান জন্মদানের সাথে সরাসরি জড়িত, শরীরের সেসব অঙ্গকের প্রজনন তন্ত্র বলে এবং শরীরের সেসব অঙ্গের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়কে প্রজনন স্বাস্থ্য বলে। পরবর্তী প্রজন্মের নিরাপদ জন্ম ও সুস্বাস্থ্য বর্তমান প্রজন্মের সার্বিক সুস্বাস্থ্য তথা প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে।