বর্তমান সরকারের গায়ের চামড়া গন্ডারের চেয়ে মোটা মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগে মায়েরা বলতোÍ ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো। বর্গী এলো দেশে। মানে বর্গীর কথা শুনলো সন্তানরা ভয় পেত। বর্তমান সরকার (আওয়ামী লীগ) বর্গীর সরকার। এই সরকারের গায়ের চামড়া গন্ডারের চেয়ে মোটা। সারাদেশের মানুষ বলছে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, আর পারছি না। কিন্তু সরকারের কিছু যায় আসে না। তারা বলছে সবকিছু ঠিক আছে। উন্নয়ন তো হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আদম ব্যবসায়ী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষকের পণ্য এখানে আমরা যারা ভোক্তা হিসাবে আছি তাদেরকে ১০/১২ গুণ দিয়ে কিনতে হয়। অর্থমন্ত্রী আছেন একজন, যিনি অতীতে আদম ব্যবসা করতেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন সরকারের আমলা। তিনি বলেন, হ্যাঁ দাম বেড়েছে কিন্তু বিশ্বের তুলনায় কম বেড়েছে। এখানে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কম আছে।
তিনি বলেন, নি¤œবিত্ত, মধ্যবিত্তরে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। আজকে সাধারণ মানুষের করুন অবস্থা, এই সরকারের গায় লাগে না। সব কিছুর দাম বাড়লো কেনো? কারণ আপনারা সব চুরি করছেন। চুরি বললে ভুল হবে, ডাকাতি করছেন। সাধারণ ডাকাতি নয় বর্গিদের ডাকাতি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বাড়ছে। এটা আরেকটা মিথ্যা কথা না? কারণ ইউক্রেন-রাশিযা যুদ্ধের আগে থেকেই তো দাম বাড়ছে। চালের দাম তো বাড়তেই আছে, তেলের দাম তো বাড়তেই আছে, পেঁয়াজের দাম বাড়তেই আছে। কারণ আপনারা লুট করছেন, চুরি করছেন, ডাকাতি করছেন। আর এর সাথে জড়িত সবাই আওয়ামী লীগের লোক, আওয়ামী লীগের সদস্য। গত দুই নির্বাচনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যদি ভোটে না যায় আর কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে কথা বলতে থাকে তাহলে অতল জলে ডুবে যাবে। ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই, এত ভয় কেনো নিরেপক্ষ সরকারে? এত ভয় কেনো তত্বাবধায়ক সরকারে। নির্বাচনকালীন সময়ে নিরেপক্ষ সরকার দিয়ে দেখন আওয়ামী লীগ ডুবে নাকি বিএনপি ডুবে।
জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চলনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কৃষক দলের নেতা টিএস আইয়ূব, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।