শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘৭ মার্চ স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা, এ কথার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। কারণ আমি মনে করি এটা স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, এটি ছিল স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতির ডাক। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমি যদি হুকুম দেয়ার নাও পারি’, তাহলে হুকুম দেওয়ার একটা প্রয়োজন হবে এবং তখন যেন সবাই প্রস্তুত থাকে, সে জন্য ৭ মার্চ সবাইকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ঠিকই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ২৬ মার্চ।’ গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) ওই সময় (৭ মার্চ) স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারতেন। অনেকেই চেয়েছিলেন এবং আমাদের অনেক নেতাই বলেছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা না এলে মানুষ হতাশ হবে। তবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা কেন দেননি, কারণ তার ইতিহাসবোধ অনন্য সাধারণ। যেকোনও রাজনীতিকের ইতিহাসবোধ জরুরি। আর যিনি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন তার ইতিহাসবোধ তো থাকতেই হবে।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন ছিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। বঙ্গবন্ধু ত্রিকালদর্শী পুরুষ ছিলেন। তিনি অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যৎ পড়তে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসবোধ ছিল বলেই বাঙালি জাতিকে তিনি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।’
মানুষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পৃক্ততা ছিল খুব গভীর উল্লেখ করে দীপু মনি আরও বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে তার (বঙ্গবন্ধু) সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সব মানুষ এক হয়ে যেতো। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীন নয়, বরং সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বলেছেন।’
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহ-সভাপতি ড. রাশিদা আসকারী, সাধারণ সম্পাদক ড. মিল্টন বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান, ট্রেজারার ড. কামালউদ্দীন আহমদ প্রমুখ।