সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেছেন সোনালী ব্যাংকের আড়াই কোটি গ্রাহক এখন তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন এবং বিকাশ থেকে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমাও দিতে পারবেন। ফলে গ্রাহক ব্যাংকিং সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত শাখায় গিয়ে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো স্থান থেকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা লেনদেন করার আরও স্বাধীনতা পেলেন। রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সাথে অনলাইন সেবার মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফি/চার্জ আদায় করনের লক্ষ্যে নওগাঁর ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্য পূরণে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে এ যৌথ সেবা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশজুড়ে সোনালী ব্যাংকের এক হাজার ২২৫টি শাখার সব গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং লেনদেন আরও সহজ এবং সময় ও খরচ সাশ্রয়ী হলো। একইসঙ্গে বিকাশের মাধ্যমে ছোট অঙ্কের এসব লেনদেন সুবিধা ব্যাংকের শাখাগুলোর ওপর চাপ কমিয়ে দিয়ে বিশেষায়িত সেবার জন্য সেখানে আসা গ্রাহকদের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ তৈরি করলো। নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সিহাব রায়হান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস। অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ মোস্তফা আলী সিদ্দিকী, নওগাঁ প্রিন্সিপাল অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আহসান রেজা, রাজশাহী অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মোরশেদ ইমাম, প্রধান কার্যালয়ের এজিএম জহিরুল ইসলাম, আল মামুন, সোনালী ব্যাংক নওগাঁ শাখার ম্যানেজার হাফিজার রহমানসহ নওগাঁ জেলার ১০০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন। পরে নওগাঁ জিলা স্কুলে, স্কুল ব্যাংকিং ডে উদযাপন করে শিক্ষার্থীদের হিসাব খোলা হয়।