করোনাভাইরাসে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রোগী একজন মারা গেছে। এ নিয়ে মোট ১২১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর এলাকার মোজাম্মেল মুন্সি (৫৫) শরীয়তপুর সদও হাসপাতালে মারা যান বলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মুনির আহম্মেদ খান জানিয়েছেন। তার শরীরে করোনা উপসর্গ ছিল। ২৪ তারিখে ভর্তি হলে ২৫ তারিখে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠানো হলেও এখনো রিপোট পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মুনির আহম্মেদ খান জানান, গত ২৪ মে করোনার উপসর্গ নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় সে মারা যায়। তার লাশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহায়তায় দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ দিকে গত ৩৬ ঘন্টায় করোনায় আরো ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ডোমসার ১৩ জন, রুদ্রকর ইউনিয়নে ২ জন, শরীয়তপুর সদর উপজেলা পৌর এলাকার নিরালা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সে ৮ দিন আগে ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে শরীয়তপুরের বাড়ি এসেছিলেন। গোসাইরহাট আলাউপুর ইউনিয়নে ৭ জন, ইদ্রিলপুর ১জন, এছাড়াও জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় ১ জন ও জাজিরা পোৗর এলাকায় ৩ জন, নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ১ জন, ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে ১ জন, ফতেজঙ্গেপুর ইউনিয়নে ১ জন, ডামুড্যা উপজেলা সিড্যা ইউনিয়নে ৩ জন, ডামুড্যা পৌরসভায় ১ জন, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাও ইউনিয়নে ১ জনসহ মোট ৩৬ জনের করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ১২ জন নারী, ১ জন শিশু ছেলে ও ১ জন মেয়ে শিশু রয়েছে। এদের ঢাকা ভ্রমনের রেকর্ড রয়েছে। এদেরকে নিজ বাড়িতে হোমআইসোলেশনে নিবিড় পর্যবেক্ষনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলায় ৪ জনে মৃত্যু হলো। আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২১।
শরীয়তপুর জেলা সিভিল সাজন ডাঃ আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর এলাকার মোজাম্মেল মুন্সি নামে এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসতালের আইসোলেশনে মারা গেছেন। তার লাশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের সায়তায় দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত ৩৬ ঘন্টায় আরো ৩৬ জন নুতন করে সনাক্ত হয়েছে।
এমএস/প্রিন্স/খবরপত্র