দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীনই সাকিব চলে আসতে চেয়েছিলেন দেশে। আর সেটা নিজ পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের পাশে থাকতে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলান। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে খেলে ফিরেছেন তিনি। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের মাটিতে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। সাকিবের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি। মিরপুরে তিনি বলেন, ‘আমার মতে, সাকিবের এখানে (দক্ষিণ আফ্রিকায়) আসা ও খেলা অনেক বড় বিষয় ছিল। বিশেষ করে ওর দুই মেয়ে, মা ও শাশুড়ি হাসপাতালে ভর্তি। তবু সে দেশের হয়ে খেলছে। এটিই ওর ক্যারেক্টার প্রমাণ করে। ও সিরিজটি জিততে চেয়েছিল। আমি ওকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। পুরো সিরিজে ও দুর্দান্ত ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাকিবের যেটা হয়েছে, বাসার ৪-৫ জন অসুস্থ ছিল। আমাদের অবশ্যই সাকিবের ত্যাগটা দেখতে হবে। সে চাইলে চলে আসতে পারতো। সে থেকে গিয়ে দলকে সাপোর্ট দিয়েছে। এটা অবিশ্বাস্য, কারণ এক-দু’জন না, সবাই অসুস্থ ছিল।’
‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার সে সিরিজটা জিততে চেয়েছিল। এটা কিছুটা স্বার্থপরের মতো বলা হয়ে যাবে, আমার দৃষ্টিকোণ থেকে। কারণ তার পরিবারের সবাই অসুস্থ ছিল। দিন শেষে এটা সাকিবের সিদ্ধান্ত ছিল। সাকিব দুই দিক সামলে দারুণভাবে নিতে পেরেছে, এটা আমি মনে করি হ্যাটস অফ টু সাকিব।’ অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি সাকিব আল হাসানের মা শিরিন আক্তার। সঙ্গে একমাত্র ছেলে আইজাহ আল হাসান ও মেঝো মেয়ে ইরাম হাসান নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। অন্যদিকে বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রি ঠান্ডা জ্বরে ভুগছিলো। সব মিলিয়ে পারিবারিকভাবে বেশ ক্রাইসিস মুহূর্ত পার করছেন সাকিব। একই সঙ্গে সাকিবের শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত।