প্রকাশ্যে মারধরপূর্বক একব্যক্তির ৭২ বছরের ভোগদখলীয় জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবী হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে উঠেছে এ অভিযোগ। সরেজমিন প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ উমখালী এলাকার মরহুম মৌলভী ওসমানের পুত্র মৌলভী মান্নানের, ৭২ বছর ধরে ভোগ দখলীয় জমির ১৪ শতক জায়গার উপর স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ওইসব জমিতে বাড়ি নির্মাণপূর্বক অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান নবী হোসেন চৌধুরী। এক পর্যায়ে দুপুর ১টা নাগাদ জমির ভোগদখলে থাকা মৌলভী মন্নান গং বাঁধা দিতে আসলে চেয়ারম্যান নিজেই মৌলভী মন্নানসহ কয়েকজন মহিলার উপর হামলা ও মারধর করে। মৌলভী মন্নান বলেন, ১৯১৮ সালে পালাকাটা বনবিট অফিস হওয়ার পর ১৯৫০ সালে বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার জন্য ৭ জনকে বনজায়গিরদার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে বনবিভাগ সাতজনকে উপকারীভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। ক্রমান্বয়ে ১৯১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০৭ টি পরিবারকে বনবিভাগ উপকারভোগীর তালিকায় নিয়ে আসে। সেই থেকে ৭২ বছর পর্যন্ত আমরা ওই জমির উপর ভোগদখলেই আছি। কিন্তু চেয়ারম্যান নবী হোসেন চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর লোভের বশবর্তী হয়ে তাদের এসব জমি কৌশলে দখলে নিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছেন চেয়ারম্যান নবী হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন মুজিব শতবর্ষের ঘর তৈরিতে জায়গা কম হওয়ায় এক ব্যক্তিকে সরিয়ে দিতে হচ্ছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের নির্দেশে ওই ব্যক্তিকে অন্যত্র আরেকটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাই সরকারি বনবিভাগের জায়গাতে মাটি কেটে তাদেরকে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য জমি ভরাট করা হচ্ছে। তাই কারও জমি জবরদখলের অভিযোগ সঠিক নয়। এ ঘটনায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকে অন্যের জমি দখল করে কাউকে পূর্ণবাসন করতে বলা হয়নি। এরকম যদি করে থাকে তাহলে চেয়ারম্যান নিজে থেকেই করেছে। আমি বিষয়ে তদন্তপূর্বক দ্রু ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।