চিরিরবন্দরে স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্যদের বাধার কারণে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হিন্দু ধর্মীয় ১৬টি পরিবারের সদস্যরা বরাদ্দকৃত ১৬টি বাড়ি হতে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় চিরিরবন্দর উপজেলার ৫নং আব্দুলপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আন্দারমুহা গমিড়াপাড়া কালি-শিব মন্দির ও দূর্গা পূজা মন্ডপ সংলগ্ন জায়গায় প্রায় ২২ বছর ধরে ১৬ জন হিন্দু ভুমিহীন পরিবার বসবাস করে আসছে এবং উক্ত মন্দিরে পূজার্চনা ও রক্ষনাবেক্ষন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম হিসেবে বাড়ী নির্মাণ করে দেওয়ার কথা ঘোষনা করা হলে সরকারী সনদপ্রাপ্ত এই ভুমিহীন ১৬টি হিন্দু ধর্মীয় পরিবারের সদস্যরা চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করে। নির্বাহী অফিসার তদন্ত সাপেক্ষে জানতে পারেন যে, তারা যেখানে বসবাস করছে সেটাই ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা। সে কারণে ১৬ জন ভুমিহীন পরিবারের মাঝে পাকা বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ প্রদান করলে মন্দির কমিটির লোকজন বাধা প্রদান করে। কমিটির লোকজন বলে ব্রিটিশ জরিপে উল্লেখ রয়েছে ৬৯ শতক জমি দেবোত্তর হিসেবে। কিন্তু পাকিস্তান জরিপে রয়েছে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। এদিকে বসবাসকারী ১৬ জন হিন্দু ধর্মীয় ভুমিহীন পরিবারকে মন্দিরে পুজার্চনা করতে দেয়া হচ্ছে না এবং গাছ কাটার মিথ্যা মামলা দিয়ে ১৬টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কয়েকজনকে হয়রানী করছে বলে জানায় ভুমিহীন কিশোরী রায়, ধনঞ্জয় রায়, শক্তি মহর রায়, রমা নাথ রায়, সমারু রায়। এব্যাপারে মন্দির কমিটির সভাপতি দিনেশ চন্দ্র রায় সাধারন সম্পাদক উদয় কুমার রায় বলেন, হিন্দুদের ব্যবহারের জন্য তৎকালীন জমিদার ৬৯শতক জমি দান করেছেন। কি কারণে পাকিস্তান জরিপে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত হলো আমরা তা জানি না। এব্যাপারে মামলা দায়ের করেছি।