মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

রোজায় সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাস যেমন হওয়া উচিৎ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২

নতুন নিয়মে খাপ-খাওয়াতে সবারই কম-বেশি কষ্ট হয়, দেখা দেয় নানা ধরণের শারিরীক-মানসিক জটিলতা। সাধারণত আমরা প্রতিদিন সকাল-দুপুর-রাত এই তিন বেলা খাবার খাই। কিন্তু রমজান মাসে আমরা সাধারণত শুধু সন্ধ্যা থেকে ভোর- এই সময়ের মধ্যেই খাবার খেয়ে থাকি। ফলে এসময় নিয়মের একটু পরিবর্তন আসে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এই সময়টা অবহেলা না করে বিষে নজর দিতে হবে। যেহেতু সারাদিন কিছু না খেয়ে আমরা রোজা রাখি, তাই রমজান মাসে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সচেতন হতে হয়। একটু বুঝে শুনে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই মাসে সুস্থ থাকতে পারি। রোজার মধ্যে ইফতার ও সেহেরীতে বেশি বেশি পানি পান করা খুবই জরুরি। সারাদিন যেহেতু আমরা পানি পান করা থেকে বিরত থাকি, দেহের পানিশূন্যতা দূর করতে ইফতার ও সেহেরীতে পর্যাপ্ত পানি এবং পানীয় খাদ্যদ্রব্য খাওয়া প্রয়োজন। এতে হজমে সুবিধা হয়।
ইফতারে বিভিন্ন কোমল পানীয় বর্জন করুন। কোমল পানীয় গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কোমল পানীয় এর পরিবর্তে বিভিন্ন ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে। লেবু, আম, তরমুজ এর শরবত, ডাবের পানি এক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় প্রথমে রাখতে পারেন। আমাদের দেশের খুব প্রচলিত একটি ব্যাপার হচ্ছে ইফতারে প্রচুর ভাঁজাপোড়া খাওয়া। সারাদিন রোজা রাখার পর যেটা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। ইফতারের জন্য তৈরি খাবারে যত কম তেল ও মশলা ব্যবহার করা যায় তত ভালো।
এছাড়া প্রচলিত খাবারের বাইরে কিছু মজাদার কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যেমন দই-চিড়া, ইফতারিতে দই-চিড়া পেট ঠা-া রাখে, দ্রুত এবং সহজে হজমে সাহায্য করে। চিড়ায় রয়েছে এসিডিটি কমানোর ক্ষমতা, দই খুব সহজেই পরিপাক হয়। মাঝে মধ্যে ফিরনি অথবা দুধে ভিজানো চিড়া, সঙ্গে হালকা চিনি ও পাকা আমের টুকরো ইফতারে বৈচিত্র্য আনতে পারে। ইফতার ও সেহেরিতে আঁশযুক্ত খাবার রাখা উচিত। আঁশযুক্ত খাবার হজম হতে দেরি হয়,তাই ক্ষুধা কম লাগে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য আঁশযুক্ত খাবার খুব দরকার। যেমন ঢেঁকি ছাটা চাল, সবুজ মটরশুঁটি, ছোলা, সবুজ শাক যেমন ডাঁটাশাক, পালং শাক, খোসাসহ এবং ভক্ষণ উপযোগী ফল যেমন পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি এবং শুকনা ফল খোরমা, খেজুর ইত্যাদি রাখতে পারেন ইফতারে । ইফতারিতে বেশি করে ফল খাওয়া উচিত। ফলে বিভিন্ন খনিজ বিদ্যমান থাকে তাছাড়াও থাকে ভিটামিন ও ফাইবার ইত্যাদি। তাই এই রমজানে ইফতার ও সেহেরিতে একটি হলেও ফল রাখা খুব জরুরি। যতোটা সম্ভর সেহেরি ও ইফতারে তেল চর্বির খাবার বর্জন করুন। এত শরীরের স্বাচ্ছন্দ্যের কারণ হবে ও আরাম বোধ হবে। এসময় মাংসের পরিমাণটা কম করে, মাছ ও শাক-সবজিকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com