কতবার আর একাহাতে দলকে রক্ষা করবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি? এবার হয়তো সেটা ভাবার সময় এসেছে চেন্নাই সুপার কিংসের। সময় এসেছে দলগত পারফরম্যান্সে বিপক্ষকে চাপে ফেলার। গত মশুমে বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখিয়ে এবং নেতৃত্ব দিয়ে চেন্নাইকে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন এমএস ধোনি। এবার জাদেজার পালা, কিন্তু তিনি নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ। আইপিএলের সুপার সানডেতেও যার ব্যতিক্রম হল না। বরং লিভিংস্টোনের মারকাটারি ব্যাটিং আর বোলারদের দাপটে মূল্যবান জয় পেল পাঞ্জাব কিংস। আর সেই সঙ্গে চলতি টুর্নামেন্টে হারের লজ্জার হ্যাটট্রিক করল সিএসকে। তিন ম্যাচে দু’টি জয় পেলেও মায়াঙ্ক আরগওয়ালের নেতৃত্ব আপাতত প্রশ্নাতীত নয়। কিন্তু তাঁর দলের সবচেয়ে বড় ইউএসপি, দলগত পারফরম্যান্স। ধাওয়ান থেকে রাবাডা, আকাশদীপ থেকে লিভিংস্টোন, প্রত্যেকে নিজের সেরাটা উজার করে দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচে। আর সেই সুবাদে নিজে রান না পেলেও কাঙ্ক্ষিত জয়টি পকেটে ভরে ফেলছেন মায়াঙ্ক। এদিনও ব্যাট হাতে মাত্র ৪ রানে আউট হন ভারতীয় ওপেনার। তবে ধাওয়ান আর লিভিংস্টোনের অনবদ্য পার্টনারশিপেই রানের পাহাড়ে চড়তে থাকে প্রীতির পাঞ্জাব। ৩২ বলে ৬০ রানের মন ভালো করে দেয়া ইনিংস উপহার দেন ইংলিশ তারকা লিভিংস্টোন। তার ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচ চার ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। শুধু কি তাই? শিবম দুবের মূল্যবান উইকেটটিও মোক্ষম সময়ে তুলে নিয়ে চেন্নাইকে মরণ কাড়মটাও দেন তিনিই। শূন্য রানে আউট করেন ব্রাভোকেও। এদিকে, রাজ বাওয়ার পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া জীতেশ শর্মা ২৬ রান করেন। আর টেলএন্ডার হিসেবে রাবাডা (১২*) ও রাহুল চাহার (১২*) আরও কিছু রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে।
জবাবে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও ধোনির ৩৫০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না শিবম দুবে। রাবাডা, বৈভব আরোরাদের দাপটে ৩৬ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ধোনি নামলে খানিকটা থিতু হয় চেন্নাই। দলের সেরা স্তম্ভের আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করেই যেন কথা বলতে শুরু করে দুবের ব্যাট। কিন্তু আর আগেই যে অনেকগুলো ওভার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভবই হয়ে গিয়েছিল। দিনের শেষে ধোনির নাছোড়বান্দা লড়াইয়েও জয় অধরা রয়ে গেল। জাদেজাকে বুঝতেই হবে, এবার নির্ভরতা ছেড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।