সারাবিশ্বেই একনামে পরিচিত এই জুটি। তাদের গ্ল্যামার চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার সমর্থকদের। সারা বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক কোটি ফলোয়ার রয়েছে তাদের। যে সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থও আয় করে থাকেন। বলা হচ্ছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং জর্জিনা রদ্রিগুয়েজের কথা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দু’জন জুটি বেধে সংসার করে যাচ্ছেন। তাদের ঘর আলো করে এসেছে কয়েকটি সন্তানও। একই সঙ্গে সারোগেসি পদ্ধতিতে রোনালদোর সন্তানও রয়েছে দু’জন। রোনালদোর বর্তমান পথ চলার অন্যতম অনুপ্রেরণা কিন্তু তার সঙ্গী, বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগুয়েজ। তিনি যখন সফরে বাইরে যান তখন বাচ্চাদের সামলান জর্জিনাই। একজন আদর্শ মা’য়ের মত সন্তানদের আগলে রাখেন তিনি। বিনিময়ে রোনালদোর কাছ থেকে কী পান জর্জিনা? নিজের রূপচর্চা এবং সন্তানদের আগলে রাখার খরচ বাবদ কত টাকাই বা জর্জিনাকে দিয়ে থাকেন রোনালদো? মাদ্রিদ ভিত্তিক জনপ্রিয় স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কা জানিয়েছে সে খবর। মার্কার একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ড থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ রূপচর্চার জন্যই নাকি জর্জিনাকে মাসে দেয়া হয় ৮ হাজার ইউরো করে (প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা)।
তবে, এটাই কিন্তু জর্জিনার মূল আয় নয়। স্প্যানিশ টিভি শো ‘ভিভা লা ভিডা’ থেকে জানা গেছে ভিন্ন তথ্য। রোনালদো প্রতি মাসেই জর্জিনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অন্তত ১ লাখ ইউরো (প্রায় ৯৫ লাখ টাকা) করে ট্রান্সফার করে দেন। এটা শুধুমাত্র তার রূপচর্চা এবং বাচ্চাদের কেয়ার করার জন্যই দেয়া হয়। সম্প্রতি জর্জিনা তার দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে একটি সিরিজ ডকুমেন্টারি ছেড়েছেন নেটফ্লিক্সে। যেখানে তিনি দেখিয়েছেন, কিভাবে একজন মা’য়ের ভূমিকা পালন করছেন, কিভাবে একজন ব্যবসায়ী নারী, কিভাবে একজন আদর্শ সঙ্গী, অনুপ্রেরণাদায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
জর্জিনার পৈত্রিক নিবাস স্পেনের আরাগোন্স রাজ্যের জারা শহরে। ‘ভিভা লা ভিডা’র একটি দল সম্প্রতি গিয়েছিল জর্জিনার পৈত্রিক এলাকায়। যেখানে তারা চাচাসহ অন্যসব আত্মীয়রা বসবাস করেন। সেখানকার মানুষরা ভিভা লা ভিডার কাছে জানিয়েছে, জর্জিনা তার দাদীর শেষকৃত্যেও অংশগ্রহণ করতে আসেনি।
গত জানুয়ারিতে জর্জিনার এক চাচা, হেসুস হার্নান্দেজ নাম, তিনি বৃটিশ পত্রিকা দ্য সানের কাছে অভিযোগ করেন পরিবারের প্রতি জর্জিনার বদলে যাওয়া আচরণ সম্পর্কে। তিনি বলেন, ‘সে (জর্জিনা) সম্ভব লজ্জা অনুভব করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। সে নিজেকে আমাদের চেয়ে অনেক উঁচুতে মনে করে। এ কারণে এখানে আসতে চায় না। কারণ, সে এখন খুবই উঁচুমানের জীবন-যাপন করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তার কাছে কিছু এখন জানতেও চাই না, জিজ্ঞাসাও করি না। রোনালদোর সঙ্গে যখন সে নিজেকে জড়িয়েছে, এরপর একবার কি দু’বার সে আমাদেরকে কল দিয়েছিল, কথা বলেছে। এর বেশি না। অথচ, একসময় আমার দায়িত্ব ছিল জর্জিনা এবং তার বোনকে দেখা-শোনা করার। তাদের জামা-কাপড় কিনে দেয়া, ইলেক্ট্রিসিটি বিল পরিশোধ করার। তার উঠতি বয়সে সে আমাদের সঙ্গেই ছিল। জর্জিনার জন্য আমি সব কিছুই করেছি।’