দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপেক্সে চালু হয়েছে হোমিও প্যাথিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। এতে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীরা। স্বাস্থ্য-কমপেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে হোমিও প্যাথিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন ডাঃ শামিম উদ্দিন মাসুম। তিনি যোগদানের পর থেকে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভীড় করছেন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী ভীড় করেছেন। চিকিৎসা নিতে আসা মিরাজুল ইসলাম জানান, আমার এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের জন্য এই হাসপাতালে হোমিও প্যাথিক চিকিৎসা সেবা চালুর প্রথম থেকেই চিকিৎসা নিয়ে আসতেছি। বর্তমানে আমি অনেকটা উপকৃত হয়েছি। এছাড়াও চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় হোমিও প্যাথিক চিকিৎসার চেম্বার থাকলেও ওইসব ডাক্তারগণ হোমিও প্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি ইউনানি, আয়ুর্বেদিক সহ বিভিন্ন চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এতে তেমন কোনো উপকার না পাওয়ায় হাসপাতালের হোমিও প্যাথিক চিকিৎসা নিতে এসেছি। এ ব্যাপারে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামিম উদ্দিন মাসুম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ মিরপুর ১৪ থেকে ২৩ তম ব্যাচে বি.এইচ.এম.এস কোর্স পাস করার পর নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পাথালিয়া পাড়ায় চেম্বার দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু করি। এরপর ৬ জুন ২০২১ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করে গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে এ হাসপাতালে প্রথম যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকেই শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে ভীড় করছে। আমি আমার সাধ্যমত সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার জানান, হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনেকটা পরিচিতি লাভ করেছে। এ অর্থ বছরে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বাজেটের পর্যাপ্ত ঔষধ এসেছে এবং মজুদ রয়েছে। উপজেলার হাজার হাজার অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ এ চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।