বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ মে, ২০২২

ঈদের আগে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে এক হাজার টাকা। সম্প্রতি মূল্য বাড়ানোর পরও ময়মনসিংহে পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। খোলা তেল থাকলেও কম দোকানে মিলছে। ঈদের আগে থেকে শুরু হওয়া তেলের এ সংকট এখনো চলছে। চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে ব্রয়লার, সোনালী ও লেয়ার মুরগির দাম। গত শনিবার (৭ মে) বিকেলে ময়মনসিংহ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ বাজারে ঘুরে এমনটা জানা যায়। বাজারের মাংস মহালের রশিদ মাংস ভান্ডারের বিক্রেতা আব্দুর রশিদ বলেন, ঈদে চাহিদা বেশি, তাই দামও বেড়েছে। আমরা ঈদের পরে বেশ কয়েকটা বাজার ঘুরেও খাসি পাইনি। যদিও দুই একটা বাজারে আসে, তা কিনতে হয় অনেক দামে। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে খাসির মাংস ৯০০ টাকা জি বিক্রি করলেও এখন এক হাজার টাকায় বিক্রি করছি। তবে গরুর মাংস ঈদের আগে ৭০০ টাকা ছিল। এখনো সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের রাজলক্ষ্মী স্টোরের মালিক বোলানাথ দাস বলেন, আমার দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল ঈদের আগে থেকেই নেই। খোলা সয়াবিন তেল আছে, তবে খুব অল্প পরিমাণ। ঈদের পর এখন পর্যন্ত কোনো তেল বিক্রেতা বাজারে আসেনি। দু-একদিনের মধ্যেই বাজারে আসতে পারে। বোলানাথ দাস জানান, তার দোকানে প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, ভাঙা মাসকলাই ১২০ টাকা, অ্যাংকার ৬০ টাকা, বুটের ডাল ৮০-৯০ টাকা, খেসারি ডাল ৭০ টাকা, মুগডাল ১৩০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪০ টাকা, খোলা আটা ৩৫ টাকা, চিনি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মধ্যবাজারের খোকন মিয়া জানান, আদা, রসুন ও আলুর দাম বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল আছে। তার দোকানে দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি রসুন ১৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, আলু ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা, দেশি আদা ৩০ টাকা বেড়ে ১৭০, ভারতীয় আদা ২০ টাকা বেড়ে ৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজারের বিক্রেতা রহিম মিয়া বলেন, ঈদে মানুষ মাছের চাইতে মাংস বেশি খায়। তাই, চাহিদা কম। তবে দাম কমেনি। তিনি জানান, তার কাছে পাঙ্গাশ মাছ ১৪০-১৫০ টাকা, পুঁটি ২০০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ৬০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, কৈ ১৬০ টাকা, বাউশ ৪৫০ টাকা, রুই ৩২০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০ টাকা, কারপু ২৬০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, রাজপুঁটি ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া বলেন, সবজির দামে কোনো ওঠানামা নেই। তবে কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা কেজি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি শসা ১০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, চিচিঙা ৩০ টাকা, ধুন্দল ৩০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, সজনে ১২০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ১০ টাকা, কাঁচকলা ২৫ হালি, ডাটা ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। মুরগি বিক্রেতা রনি মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ১০ টাকা, সোনালীতে ২০ টাকা ও লেয়ারে ৫০ টাকা করে বেড়েছে। ব্রয়লার ১৭০ টাকা, সোনালী ৩২০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। হাসের ডিম ৫০ টাকা হালি, ফার্মের মুরগির ডিম ৩৫ টাকা হালি, দেশি মুরগি ৫৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com