বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৭তম সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে -আমান শ্রীমঙ্গলে নারী চা শ্রমিক-কর্মজীবী নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য নিয়ে সংলাপ কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম : আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের স্মরণসভা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে-রেজাউল করিম বাদশা দুর্গাপুরে আইনজীবীদের মানববন্ধন কয়রায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দুর্গাপুরে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপি কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ মে, ২০২২

ঈদের আগে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে এক হাজার টাকা। সম্প্রতি মূল্য বাড়ানোর পরও ময়মনসিংহে পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। খোলা তেল থাকলেও কম দোকানে মিলছে। ঈদের আগে থেকে শুরু হওয়া তেলের এ সংকট এখনো চলছে। চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে ব্রয়লার, সোনালী ও লেয়ার মুরগির দাম। গত শনিবার (৭ মে) বিকেলে ময়মনসিংহ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ বাজারে ঘুরে এমনটা জানা যায়। বাজারের মাংস মহালের রশিদ মাংস ভান্ডারের বিক্রেতা আব্দুর রশিদ বলেন, ঈদে চাহিদা বেশি, তাই দামও বেড়েছে। আমরা ঈদের পরে বেশ কয়েকটা বাজার ঘুরেও খাসি পাইনি। যদিও দুই একটা বাজারে আসে, তা কিনতে হয় অনেক দামে। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে খাসির মাংস ৯০০ টাকা জি বিক্রি করলেও এখন এক হাজার টাকায় বিক্রি করছি। তবে গরুর মাংস ঈদের আগে ৭০০ টাকা ছিল। এখনো সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের রাজলক্ষ্মী স্টোরের মালিক বোলানাথ দাস বলেন, আমার দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল ঈদের আগে থেকেই নেই। খোলা সয়াবিন তেল আছে, তবে খুব অল্প পরিমাণ। ঈদের পর এখন পর্যন্ত কোনো তেল বিক্রেতা বাজারে আসেনি। দু-একদিনের মধ্যেই বাজারে আসতে পারে। বোলানাথ দাস জানান, তার দোকানে প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, ভাঙা মাসকলাই ১২০ টাকা, অ্যাংকার ৬০ টাকা, বুটের ডাল ৮০-৯০ টাকা, খেসারি ডাল ৭০ টাকা, মুগডাল ১৩০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪০ টাকা, খোলা আটা ৩৫ টাকা, চিনি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মধ্যবাজারের খোকন মিয়া জানান, আদা, রসুন ও আলুর দাম বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল আছে। তার দোকানে দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি রসুন ১৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, আলু ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা, দেশি আদা ৩০ টাকা বেড়ে ১৭০, ভারতীয় আদা ২০ টাকা বেড়ে ৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজারের বিক্রেতা রহিম মিয়া বলেন, ঈদে মানুষ মাছের চাইতে মাংস বেশি খায়। তাই, চাহিদা কম। তবে দাম কমেনি। তিনি জানান, তার কাছে পাঙ্গাশ মাছ ১৪০-১৫০ টাকা, পুঁটি ২০০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ৬০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, কৈ ১৬০ টাকা, বাউশ ৪৫০ টাকা, রুই ৩২০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০ টাকা, কারপু ২৬০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, রাজপুঁটি ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া বলেন, সবজির দামে কোনো ওঠানামা নেই। তবে কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা কেজি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি শসা ১০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, চিচিঙা ৩০ টাকা, ধুন্দল ৩০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, সজনে ১২০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ১০ টাকা, কাঁচকলা ২৫ হালি, ডাটা ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। মুরগি বিক্রেতা রনি মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ১০ টাকা, সোনালীতে ২০ টাকা ও লেয়ারে ৫০ টাকা করে বেড়েছে। ব্রয়লার ১৭০ টাকা, সোনালী ৩২০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। হাসের ডিম ৫০ টাকা হালি, ফার্মের মুরগির ডিম ৩৫ টাকা হালি, দেশি মুরগি ৫৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com