(৮ই মে ২০২২ইং)৮ই মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে নোয়াখালী শিল্প কলা একাডেমি হল অডিটোরিয়ামে সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নোয়াখালী জেলা কর্তৃক এক আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্ছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উক্ত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ খায়রুল আলম সেলিমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম (পিপিএম) পুলিশ সুপার নোয়াখালী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাসুম ইফতেখার, সিভিল সার্জন নোয়াখালী, জনাব এড. শিহাব উদ্দিন শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার নোয়াখালী মহোদয় বলেন আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র মূলনীতি হচ্ছে মানবতা (ঐঁসধহরঃু), ন্যায় (ওসঢ়ধৎঃরধষরঃু), নিরপেক্ষতা (ঘবঁঃৎধষরঃু), স্বাতন্ত্র্য (ওহফবঢ়বহফবহপব), স্বেচ্ছাকৃত সেবা (ঠড়ষঁহঃধৎু ঝবৎারপব), একতা (টহরঃু), বিশ্বজনীনতা (টহরাবৎংধষরঃু)। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন মানবিক সেবার সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক, যার আওতায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবী ও কর্মী বিশ্বব্যাপী একসাথে কাজ করে চলেছেন মানবতার মহান ব্রত নিয়ে। এই আন্দোলনের মৌলিক নীতিমালার ব্যাপকতা যেকোন ভৌগলিক সীমারেখা, সাংস্কৃতিক আচার এবং ধর্মীয় অনুশাসনের উর্ধ্বে। রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য দুর্যোগ ও সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদান। ৩১ মার্চ, ১৯৭৩ সালে তৎকালীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আদেশে ১৯৭৩ (পিও-২৬) জারি করেন । এই আদেশের বলে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল থেকে ‘বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি’ স্বীকৃতি লাভ করে। ১৮২৮ সালের এই দিনে রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরী ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। এই মহান ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর তার জন্মদিনটিকে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিও বিশ্বের অন্যান্য জাতীয় সোসাইটির ন্যায় যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদা সহকারে দিবসটি পালন করছে।