গ্রামীন জনপদে প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন একটি জামে মসজিদ। স্থানীয় মুসল্লিদের অর্থায়নে শুরু করা হয় মিনারসহ দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজ। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা। এরই মধ্যে ৩০ ভাগ কাজ শেষ না হতেই অর্থাভাবে থমকে গেছে নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা বনগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজীবাড়ী সন্তোলা নির্মাণাধীন জামে মসজিদটি। এখানে প্রায় সাড়ে ৩০০ মুসল্লি নিয়মিত নামাজ আদায় করে। যার বেশিরভাগই কৃষক ও দিনমজুর প্রকৃতির মানুষ। স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন এই মসজিদ ঘরটি এক সময়ে টিনসেড ছিল। সেটি ১০ বছর আগে মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতায় দ্বিতল ভবনের ভিত্তিতে ২০ লাখ ব্যয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে প্রথম তলা। বিশাল এই সমাজে মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া একই সঙ্গে নামাজ আদায়ে নেই কোন ধারণ ক্ষমতা। ফলে শুরু করা হয় মিনারসহ দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজ। ফের স্থানীয় মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় কাজটি শুরু করা হলেও ৩০ ভাগ কাজেই থেমে গেছে নির্মাণ কাজ। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেও তা মিলছে না। এখন টাকার অভাবে মসজিদের পূননির্মাণ কাজ কন্ধ হওয়ায় চরম হতাশায় ভুগছে স্থানীয় মুসল্লিরা। মতলুবর রহমান নামের এক মুসল্লি বলেন, এই সমাজের অধিকাংশ মানুষ কৃষক আর খেটে খাওয়া। বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে সাহায্যে করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এখন আল্লাহর সাহায্যের অপেক্ষায় আমরা। ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ মো. আমজাদ ম-ল জানান, স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নিকট আবেদন করা হলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। এখন আল্লাহ জানেন কবে টাকা-পয়সা জোগার আর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর এই ঘরটি নির্মাণে সাদুল্লাপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখার ০২০০০৭২৪০৬৭৯ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে যে কেউ আর্থিক সহযোগিতা করতে পারবেন।