টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের সাগরদিঘী রূপালী হল মোড় হতে চুলাবর (ফুলমালিরচালা) বাজারের যোগাযোগের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এক পশলা বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় চলার অনুপযোগী হয়ে পরে। যা দেখার কেউ নেই। জানা গেছে, সাগরদিঘী ইউনিয়নের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ একটি গ্রাম এটি । জালালপুর, পাগারিয়াপাড়া, গুয়ারিয়াপাড়া, চুলাবর ও মালিরচালা এলাকায় হাজার হাজার পরিবার বাস করে। শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে তাদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা এটি। সাগরদিঘী বাজার থেকে চুলাবর বাজারের দূরত্ব কমপক্ষে পাঁচ- ছয় কিলোমিটার হবে। এই কাচা রাস্তাটির প্রধান যানবাহন হচ্ছে ভ্যান, ভ্যাটারিচালিত অটো রিক্সা ও ঘোড়ার গাড়ী। এই রাস্তার বর্তমানে বেহাল অবস্থার কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে হাজারো মানুষের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। জরুরি কোনো রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেলা শহরে বা ঘাটাইল উপজেলা সদরে নিতে চাইলে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার রাস্তা হেটে আসতে হবে যা সেই রোগীর জন্য অসম্ভব। এমনকি যথাসময়ে রোগীকে হাসপাতালে নিতে না পারলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কৃষি নির্ভর অঞ্চলে সাগরদিঘী বাজারে কৃষি ফসলাদি পরিবহনের একমাত্র প্রধান সড়ক এটি হওয়ায় কৃষকদের ভোগান্তি যেন শ্বাসরুদ্ধকর। এছড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের প্রধান এই সড়কে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিটন সরকার, শাহাদত সিকদার ও আনোয়ার হোসেন বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে চলার অনুপযোগী হয়ে পরে। আমরা বর্তমান উন্নয়ন বান্ধব সরকারের কাছে আবেদন জানাই অতি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে জন দুর্ভোগ লাগব করা হোক। যুবলীগ নেতা হাবিব খান বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারে না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. ওয়ালিয়ার রহমান বলেন, জনদুর্ভোগ নিরসনে রাস্তা নির্মাণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হবে।