দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গত বছরের তুলনায় এ বছর গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম। দিন যত যাচ্ছে ক্রমে তা বেড়ে উঠেছে। গতবছর আম চাষ করে তেমন লাভবান না হলেও এবার আম চাষ করে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী আম চাষীরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায়, উপজেলার ওসমানপুর, রানীগঞ্জ, কানাগাড়ি, বলগাড়ি, ডুগডুগি এলাকার বিভিন্ন বাগানের গাছে গাছে পাতার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন জাতের আম দেখা মিলছে সহজেই। এছাড়া বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন এবারও ভালো হবে এবং আশাঅনুরূপ দাম পাবে বলে মনে করেন আম চাষীরা। আম চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, পূর্বে রমজান মাসে আম ভর পাক দিয়েছিল। চাহিদা কম ছিল আশানুরূপ দাম পাওয়া যায়নি কিন্তু এবার ঈদের পরে আম বড় হতে শুরু করেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে থাকায় প্রতিটা গাছে প্রচুর পরিমানে মুকুল আসেছিল। মুকুল আসার পর থেকে গাছের পরিচর্যা করায় গাছে আশানুরূপ আম দেখা যাচ্ছে,গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় সুস্বাদু আম। আর এক আম চাষি বলেন, কিছু কিছু গাছে আম কম এসেছে কিন্তু এবার আম তুলনামূলক ভাবে বেশ বড় হচ্ছে। এই আম গুলো আমরা দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকি। গুটি কাঁচা আম গুলো বর্তমানে ৮০০ টাকা মন যাচ্ছে। আশা করা যায় আমরা এবার ভালো দাম পাবো। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানায়, উপজেলার আমের বাগানের মোট সংখ্যা ২৫৬ টি আর হেক্টর প্রতি ফলন ৮.৯৭হেক্টর ,ফলনের মোট উৎপাদন ১৬০৫.০ মে:টন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার জানায়, বরেন্দ্র এলাকায় হাওয়াই এখানকার কিছু জমি আম চাষের জন্য উপযোগী আগে থেকে কিছু বাগান রয়েছে সেগুলোতে মুকুল কম এসেছে কিন্তু আধুনিক যে জাতগুলো আমরা সম্প্রসারণ করেছি যেমন হাইব্রিড,বারি-৪ আম রুপালি, হাড়িভাঙ্গা, বানানা ম্যাংগো এই আম গুলোর বেশ ভালো ফলন হয়েছে। আর যদি প্রতিকূল আবহাওয়ার ও ঝড়-ঝাপটার না আসে তাহলে আমরা ভালো ফলন পাবো এবং ফল চাষিরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি এবং সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।