সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুরে বন্যার পানি মাড়িয়ে পত্রিকা বিক্রি করে চলেছেন হকার নিকেশ বৈদ্য। বুধবার (২৫ মে) দেখা যায়, বন্যার পানিতে হেঁটে হেঁটে মানুষের বাসা-বাড়িতে পত্রিকা পৌছে দিচ্ছেন নিকেশ। জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ব প্রথম পত্রিকা বিক্রেতা ছিলেন প্রয়াত আবদুল মনাফ ওরফে ঘড়ি বাবু। তাঁর হাত ধরে ১৯৯৯ সালে পৌর এলাকার শেরপুর গ্রামের মৃত যুগেশ বৈদ্যের ছেলে নিকেশ বৈদ্য বাল্যকাল থেকে পত্রিকা বিক্রি শুরু করেন। এখন পর্যন্ত হাল ধরে রেখেছেন নিকেশ। প্রতিদিন সকালে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে পত্রিকা সংগ্রহ করে দিন ব্যাপী অফিসপাড়া ব্যাংক-বীমা, হাট-বাজার ও মানুষের বাসা-বাড়িতে গিয়ে পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ বন্যাতেও পানি মাড়িয়ে পত্রিকা বিক্রি করছেন নিকেশ। ইতোমধ্যে পত্রিকা বিক্রি করে কাঙ্খিত রোজগার না হওয়ায় অন্যান্য হকার চলে গেলেও এখনো মাঠে রয়েছেন নিকেশ। বর্তমানে জগন্নাথপুরে সে একমাত্র হকার। তার পরিশ্রমের ফলে আজও জগন্নাথপুরবাসী পত্রিকা পাচ্ছেন। এ বিষয়ে পত্রিকা বিক্রেতা নিকেশ বৈদ্য জানান, পত্রিকা বিক্রি করে আগের মতো রোজগার হয় না। যে কারণে অন্য হকাররা চলে গেছে। পত্রিকার প্রতি আমার আলাদা মায়া সৃষ্টি হয়েছে। একদিন পত্রিকা না পেলে ভালো লাগে না। পত্রিকা আমার জীবন-পত্রিকা আমার মরণ। পত্রিকার প্রেমে পড়ে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ও বন্যার পানি মাড়িয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পত্রিকা বিক্রি করছি। আসলে পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাতে পারি না। বিভিন্ন সময়ে অনেক মানুষ আমাকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। তবে এ বন্যায় এখনো কারো কোন সহযোগিতা পাইনি।