হাজার হাজার জাতীয় পতাকাবাহী ইসরায়েলি পূর্ব জেরুজালেমের ওল্ড সিটির মুসলিম এলাকাগুলোর মধ্য দিয়ে পতাকা মিছিল করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা এ কর্মসূচিকে খুবই উস্কানিমূলক মনে করছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর এ মিছিল সম্পর্কে বলেছে, ইসরায়েল ‘আগুন নিয়ে খেলছে’। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ কর্মসূচি এলো। বিবিসির প্রতিবেদক টম বেটম্যান বলেছেন, মিছিলকারীরা আসার পর ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দামেস্ক গেটের চারপাশ থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সরিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ইসরায়েলিরা জাতীয়তাবাদী স্লোগান দিয়ে সরু গলির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে স্থানীয় সময় আজ রবিবার সকালে শহরের ‘ওল্ড সিটি’ এলাকায় একটি বিরোধপূর্ণ পবিত্র এলাকায় বিক্ষিপ্ত গোলযোগ হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা পুলিশ ও ইহুদিদের জড়ো হওয়া একটি গেটের দিকে পাথর ও আতশবাজি ছুঁড়লে এ পরিস্থিতি হয়। ইহুদি তরুণরা মিছিল নিয়ে এগোবার জন্য সেখানে সমবেত হচ্ছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ছত্রভঙ্গ করায় ব্যবহূত স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ছে। ফিলিস্তিনিরা আগেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, মুসলিম এলাকার ওপর দিয়ে পরিকল্পিত এ মিছিল থেকে সহিংসতার সূত্রপাত হতে পারে।
পতাকা মিছিল ইসরায়েলের পালন করা ‘জেরুজালেম দিবসে’ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখলের ঘটনা উদযাপন করে ইসরায়েলিরা। ইসরায়েল পুরো জেরুজালেমকে তার রাজধানী হিসাবে বিবেচনা করে, যা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এবং ফিলিস্তিনিরা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়লে-ফিলিস্তিন বিরোধের অন্যতম মূল বিষয় জেরুজালেম শহরের মর্যাদা। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়লে-অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের প্রত্যাশিত ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায়। তবে ইসরায়লে বলে আসছে, শহরটি কখনোই বিভক্ত করা হবে না।
গত বছর গাজায় ইসরায়লে এবং কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ধ্বংসাত্মক ১১ দিনের লড়াই এই জেরুজালেম দিবসেই শুরু হয়ছিল। গত সপ্তাহে ইসরায়লের জননিরাপত্তা মন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি মিছিলকারীদের দামেস্ক গেট দিয়ে ওল্ড সিটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এ পথেই শহরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাওয়া হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছিল। গত বছর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে মিছিলকারীদের ওই পথ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। সূত্র: বিবিসি