ঢাকার দোহারের বিলাসপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পদ্মাপারের মানুষের বোবা কান্না যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। বর্ষার পানি আসার সাথে সাথেই ভাঙছে বিলাসপুরের কতুবপুর এলাকা হতে দোহারের মধুরচর সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত। এরই মধ্যে তিন কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে পদ্মা কেড়ে নিয়েছে প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর। প্রতিরাতে ভাঙন আতঙ্কে কাটছে এই অঞ্চলের মানুষের দিনরাত। বিলীন হয়েছে ফসলি জমি। এখনই ব্যব¯’া না নিলে বিলাসপুর ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে ৭ নং ওয়ার্ড। এমনটাই জানালেন পদ্মাপারের বাসিন্দারা। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি। সবমিলে এই অঞ্চলের মানুষের জনদূর্ভোগ চরমে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন যদি এখনই কোন প্রকার উদ্যোগ না নেয়া হয় তাহলে তাদের যাওয়ার কোনো যায়গা থাকবেনা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দোহারের নয়াবাড়ি কুসুমহাটি ও মুকুসুদপুর ইউনিয়নে ভাঙনের চিত্র অনেকটা আতংেকর। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ওয়াদার পর নয়াবাড়িতে বাধের কাজ শুরু হলেও কুসুমহাটি ও বিলাসপুর ইউনিয়নের পদ্মাপারে বাঁধের কাজ শুরু হয়নি। তাই ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার বলেন, শীঘ্রই ভাঙন রোধে সকলকে নিয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। এদিকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, পদ্মার পারের এই অঞ্চলের তীরবর্তী এলাকায় বাঁধের কাজ শুরু হবে। তবে বর্তমান পরি¯ি’তি মোকাবেলায় শীঘ্রই কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে। এছাড়া দোহারের সাংসদ সালমান এফ রহমানের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।