সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় ও সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের ১২ শতাধিক বন্যার্ত জনসাধারনকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী এনজিও সংস্থা পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র। ২৮ জুন মঙ্গলবার জামালগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ কার্যালয় প্রাঙ্গনে এবং ২৭ জুন সোমবার সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বেরীগাঁও ব্রাঞ্চ অফিসের কার্যালয় প্রাঙ্গনে পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র সমৃদ্ধি কর্মসূচীর উদ্যোগে ও পিকেএসএফ এর অর্থায়নে দিনব্যাপি বন্যার্ত নারী পুরুষের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরন করা হয়। পদক্ষেপ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবুল বাশার ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া সংস্থার মাঠ পর্যায়ে সনাক্তকৃত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে চাল, ডাল, আলু ও সোয়াবিন সমেত ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেট আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরন করেন। এসময় পদক্ষেপ এর সহকারী পরিচালক ও জোনাল ম্যানাজার মোঃ রফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার ও সিনিয়র ব্যাবস্থাপক গোলাম এহিয়া,সিনিয়র অফিসার খান গোলাম মোস্তফা, মোঃ শামীম মিয়া, পদক্ষেপ সদর ব্রাঞ্চের ম্যানাজার মোঃ কামরুজ্জামান, সুরমা ব্রাঞ্চের ম্যানাজার মোঃ বাদল হোসেন, এসডিও জাহিদুল ইসলাম, ইডিও সোহেল খান, পদক্ষেপ এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সনেট রায় ও দিপংকর মালাকারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। পদক্ষেপ সুনামগঞ্জ এরিয়ার সিনিয়র ব্যবস্থাপক ও এরিয়া ম্যানেজার গোলাম এহিয়া বলেন, ১৯৮৬ সালে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে পদক্ষেপ এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে দুর্যোগ মোকাবেলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, কমিউনিটি উন্নয়ন কার্যক্রম, ঋণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে এই সংস্থাটি। সর্বশেষ জুন মাসের কর্মব্যস্ততার মধ্যেও চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ৫০০, সুরমা ইউনিয়নে ৭০০ ও জামালগঞ্জ উপজেলায় ৫০০ পরিবারকে আমরা ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছি। সিলেট এরিয়ার এরিয়া ম্যানাজার ও সিনিয়র ব্যবস্থাপক মোঃ মজিবুল হক জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার,সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় মোট ৩৯০০ পরিবারকে প্রথম দফায় ত্রাণ সহায়তা দিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। পরবর্তীতে ত্রাণ সহায়তা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।