ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম ইফতেখার আজাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সহকারী ও সিনিয়র স্টাফ নার্সদের সিভিল সার্জন বরাবর করা অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম ইফতেখার আজাদ। শনিবার (০২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ইফতেখার আজাদ তার অধিনস্ত একাধিক স্বাস্থ্য সহকারী ও নার্স কর্তৃক সিভিল সার্জন বরাবর করা বিভিন্ন অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ এস এম ইফতেখার আজাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো আনা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। যথাযথ প্রমান না দিতে পারলে আমি অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তিনি আরো বলেন, একটি চক্র আমাকে এখান থেকে সরাতেই এসকল নাটক সাজিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি আরো বলেন হাসপাতালের কিছু নার্সরা তাদের দ্বায়িত্বে অবহেলা, এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর হোসেনের অনিয়মে বাধা দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছে তাতে জোর করে কিছু নার্সের সাক্ষর নিয়ে ছিলো। পরে সেসকল নার্সরা পুনঃরায় সে সাক্ষর প্রত্যাহারের জন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন হাসপাতালের পুরোনো যে এ্যাম্বুলেন্সটি কয়েক বছর অকেজো হয়ে গ্যারেজে পরে আছে। একটুও চলেনি সেই এ্যাম্বুলেন্সের নামে মেরামতে মিথ্যা ভাউচার করেছে যার মধ্যে যথাক্রমে ৪৪ হাজার, ৪২ হাজার, ৯৯ হাজার, ৫৫ হাজারসহ একাধিকবার মিথ্যা বিল উত্তোলন করার বিরুদ্ধে যাওয়ায় আমার বিপক্ষে অভিযোগ করে। নার্সদের কাজ নার্সরা নিজেরা না করে আয়াদের দিয়ে করানো হয় বলে একাধিক আয়ারাও অভিযোগ করে নার্সদের বিপক্ষে। উল্লেখ্য যে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন স্বাস্থ্য সহকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন খাতের অর্থ লুটপাট, স্টাফদের হয়রানি ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি প্রদানসহ নানা অভিযোগ এনে গত ২৩ জুন সিভিল সার্জন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করে তার অধিনন্ত স্বাস্থ্য সহকারীরা। সেই অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, করোনা কালীন সময়ে সাব ব্লকের বরাদ্দকৃত অর্থ, বিভিন্ন প্রণোদনার অর্থ,ফিল্ড/মাঠ থেকে সিডিউল করে সপ্তাহে ৩ দিন করোনা টিকা প্রদানের অর্থ, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে বরাদ্দকৃত অর্থ, জাতীয় কৃমিনাশক সপ্তাহের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতসহ তার অধিনস্ত কর্মচারীদের বেতন বোনাস প্রদানে হয়রানি, হুমকি ধামকিসহ দুর্ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে হাসপাতালে কর্মরত একাধিক সিনিয়র স্টাফ নার্সরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ডাঃ এস এম ইফতেখার আজাদ বলে হাসপাতালে আমি যোগদানের আগে থেকেই যে সকল অনিয়ম চলে আসছে সেগুলো আমি মেনে না নেওয়াতেই আমার বিরুদ্ধে এসকল ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র।