লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৃদ্ধ বাদাম বিক্রেতার কুমারী কিশোরির (১৫) নবজাতকের জন্মের ৮ ঘন্টা পর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় চলছে। অসুস্থ্য কিশোরী বর্তমানে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ মৃত নবজাতকে উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে মৃত দেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। শুক্রবার সন্ধায় নবজাতককে তার নানাদের পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কেরোয়া ইউপিরক্ষিন কেরোয়া গ্রামের আমিন উদ্দীন মুন্সি বাড়ীতে। এঘটনায় অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে গ্রামবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শনিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরী সাংবাদিকদের জানান, একই বাড়ীর জাকির হোসেনের ছেলে মোঃ ইমন (১৯) পরিবারের অগোচরে বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্ক করায় সে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। এতোদিন সে গ্রামের মানুষের ভয়ে নীজ ঘরে আত্নগোপনে থাকে। অবশেষে যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় তফাদার বাজারের ওষুধের দোকান থেকে গর্ভপাতের ওষুধ এনে প্রায় ৮ মাসের মাথায় একই এলাকার ধাত্রীর মাধ্যমে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। প্রায় ৮ ঘন্টা পর বাড়ীর লোকদের ভয়ে গোপনে হাসপাতালে নেয়ার পে রাস্তায় নবজাতক শিশুটি মারা যায়। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সংবাদ পেয়ে পুলিশ কিশোরী ও তার মৃত নবজাতককে থানায় নিয়ে যায়। উল্লেখ্য- অভিযুক্ত বখাটে ইমন তারই বাড়ীর সুপ্রীম কোটের এডভোকেটের মা’কে গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাতে শ্বাস রোধে হত্যা মামলায় আরেক প্রেমিকাসহ লক্ষ্মীপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
কিশোরীর বাবা জানান, ইমন আমার মেয়ের সব শেষ করে দিছে। আমি এখন কার কাছে যাবে? আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ ঘটনায় রায়পুর থানার এসআই আলী আশরাফ জুয়েল বলেন, কুমারি কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। মৃত নবজাতকটির ময়না তদন্ত শেষে মৃত দেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যা করা হয়েছে তা মেডিকেল রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে।
এমএস/প্রিন্স