চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হলেও এর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। আলুর দাম পৌঁছেছে গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৭ টাকা।
কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন স্থানে মজুদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও বন্যার কারণে সবজির সরবরাহ কমে উচ্চ চাহিদা তৈরি হওয়ায় আলুর দাম বেড়েছে। তারা একই সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া, পরিবহণ ও শ্রমিকের খরচ বৃদ্ধিতেও এর জন্য দায়ী করেছেন। কোল্ডস্টোরেজ থেকে প্রতি কেজি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর অধিকাংশ খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলছেন, পরিবহন ও প্যাকিংসহ অন্যান্য বাড়তি খরচের কারণে রাজধানীতে আলু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যায় সবজির উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আলু চাহিদা বেড়েছে। তবে গত সাত দিন আগেও পাইকারি বাজার থেকে ২০ টাকায় আলু কিনলেও এখন ৩০ টাকা। বেশ কিছু আলু চাষি বলছেন, অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা নিজস্ব স্টোর ও হিমাগারে আলু মজুত রেখে এখন বেশি লাভে বিক্রি শুরু করেছেন। যার কারণে বাজারে আলুর দাম বাড়ছে।
তবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ড্যাম) মহাপরিচালক (ডিজি) এ গাফফার খান বলেন, আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা হলে তার ওজন হ্রাস পায়। তাই দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।