গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের পোশাক রফতানির শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে ৫১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের দেশভিত্তিক রফতানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক আমদানিকারক ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের রফতানি আগের অর্থবছরে ১৫.৯৯ বিলিয়ন ডলার থেকে গত অর্থবছরে ৩৩.৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২১ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, জার্মানি, ইইউ অ লে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় পোশাক রফতানি বাজার ২৭.৭৪ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ জার্মানিতে ৭.১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি করেছে। অন্যান্য প্রধান ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডে রপ্তানি শক্তিশালী ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ইউকে এবং কানাডাতে বাংলাদেশের রফতানিও যথাক্রমে ৩০.৫৬ এবং ৩৩.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে অ-প্রথাগত বাজারে রফতানি গত অর্থবছরে ২৫.৪০ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, চীন এবং রাশিয়া যথাক্রমে ১৮.০৪ শতাংশ এবং ১.৬৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বাজারগুলোতে সামগ্রিক রফতানি এখনও একটি ইতিবাচক বৃদ্ধির প্রবণতা দেখালেও কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে এবং ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ বাণিজ্য গতিশীলতা আগামী দিনগুলোতে একটি তীক্ষ্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং বাণিজ্যও সামনে একটি হতাশাজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। ইপিবির তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের ১২ মাসে বাংলাদেশ থেকে পাঁচ হাজার ২০৮ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ এগিয়ে এবং আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বসাকুল্যে তিন হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের পণ্য রফতানির ওপর ভিত্তি করে পরের বছরের জন্য চার হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। রফতানি আয়ে সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস সেক্টর ২০২২ অর্থবছরে ৪২.৬১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এ খাতে আয় বেড়েছে ৩৫.৪৭ শতাংশ, যা ২০২১ অর্থবছরেও ৩১.৪৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।