মামলায় সঠিক প্রতিবেদন না দেয়ার প্রতিবাদে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মোঃ সাইদ মোল্যা। বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ সাইদ মোল্যা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর, তার স্ত্রী রুনা বেগম ও মা শিফালী বেগম আমার ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণাংলকারসহ মোবাইল ফোন চুরি করে। রান্নঘর থেকে আমার স্ত্রী দেখে ফেলায় পালিয়ে যাওয়ার সময় রুনা পড়ে গিয়ে আহত হয়। ধরাপড়ে যাওয়ায় উল্টো আমাদেরকে ফাঁসাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চুরির ঘটনায় আমি আদালতে মামলা করি। একই ঘটনায় জাহাঙ্গিরের মা শিফালীও কাশিয়ানী থানায় আমাদের বিরুদ্ধে মারধর ও স্বার্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন। তদন্তকারী অফিসার তদন্তে সভ্যতা না পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। থানায় সুবিধা করতে না পেরে আদালতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করে শিফালী। সাইদ আরো বলেন, শিফালির করা মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহ্ আলম সোহাগ। তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আশ^াস দেন। চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল ও জাতায়াতের কথা বলে আমার নিকট হতে কয়েক ধাপে নগদ ১৩ হাজার টাকা নেন। এছাড়া এসআই সোহাগের চাহিদামতো তার বিকাশ একাউন্টে (০১৭৭৫….৮৩ নাম্বরে) ১৫ মার্চ ২ হাজার ও ১৭ মার্চ ১ হাজার টাকা দেই। অথচ তিনি একটি জলজ্যান্ত মিথ্যা ঘটনাকে সত্য বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এহেন মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলকারী এসআই মোঃ শাহ্ আলম সোহাগের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি, মামলায় ন্যায় বিচার পেতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাইদ। পিবিআই’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক শাহ্আলম সোহাগ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে সাইদ মোল্যা আমার অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।