রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে বালিপাথর লুটতরাজ বন্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ কেশবপুরে বিশ্ব শিশু দিবস পালন ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন শ্রীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ ভালুকায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্র রাব্বি হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কালীগঞ্জে এক রাতে ৯ গরু চুরি ভুক্তভোগী খামারীদের আহাজারী কলমাকান্দায় দশম গ্রেডের দাবীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন নেত্রকোণা পৌরসভার সড়কে খানাখন্দ দুর্ভোগে পথচারীরা ত্রিশালে শহীদ ও আহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান লামায় চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

ছুটির দিনে কক্সবাজার সৈকতে জনস্রোত

খবরপত্র ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকত শহর কক্সবাজারে পর্যটকের জনস্রোত নেমেছে। আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে সাগর তীরে মেতেছেন তারা। আর তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ। ঈদুল আজহার পর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে সৈকতের সবকটি পয়েন্ট পর্যটকে ঠাঁসা। কক্সবাজারকেই পছন্দের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন পর্যটকরা। পর্যটন মৌসুমে বিনোদন প্রেমীদের চাপ বাড়ায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশ জানালেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরেও। কুমিল্লা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা আসিফ রহমান বলেন, ঈদের পর সপ্তাহিক ছুটির দিনে বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িতে উঠি। সকালে কক্সবাজারে পৌঁছেছি। কিন্তু এখানে কোনো হোটেল ফাঁকা পাইনি। তবুও বিশাল সমুদ্রের সামনে এসে মনটা জুড়িয়ে গেছে। এটাই কক্সবাজার ভ্রমণের আনন্দ।
সিলেট থেকে সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন রাকিব রাজা। তিনি বলেন, ইনানী, হিমছড়ি ও রামুর বৌদ্ধবিহার দেখেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো। যে কারণে সৈকত ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউস মালিকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৬ জুলাই পর্যন্ত বেশির ভাগ হোটেল ও গেস্টহাউস বুকিং হয়েছিল। তিন লাখের অধিক পর্যটক বর্তমানে অবস্থান করছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে আজ শুক্রবার প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।
হোটেল সী গাজীপুরের মহা-ব্যবস্থাপক আব্দুল জাব্বার বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিন থেকে প্রায় কম-বেশি পর্যটক কক্সবাজারে আসছেন। এবার সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট আগাম বুকিং হয়েছে।
কলাতলীর রেন ভিউ মালিক মুকিম খান জানান, হোটেল-মোটেলে যে পরিমাণ ধারণক্ষমতা তার চেয়েও লোকসমাগম বেশি হয়েছে। রুম বুকিং করে যারা এসেছেন, তারা ছাড়া বাকিরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এখানে দেড় লাখেরও বেশি মানুষের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বেশি পর্যটক এলে রাত্রিযাপন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যটকদের করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সর্বদা সচেতনতামূলক মাইকিং ও প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। পর্যটক হয়রানি বন্ধে মাঠে থাকছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। কোথাও পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ। নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা, তথ্যসেবা, পানীয় জলের ব্যবস্থাসহ নানা সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। তিনি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট ও জেলা পুলিশ। মোতায়েন রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশও। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে পর্যটন স্পটগুলো। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত সাধারণ চিকিৎসা ও খাবার পানির ব্যবস্থাও রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com