উত্তরবঙ্গের আলোকিত সন্তান জাতীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর-৪ (কাউনিয়া, পীরগাছা), রংপুর-১ (গংগাচড়া) আসনের তিন বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতি, দানবীর, শিক্ষানুরাগী বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব আলহাজ¦ করিম উদ্দিন ভরসা(৮৭)। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ জুলাই ১২.১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তাঁর বড় ছেলে সেরাজুল ইসলাম ভরসা জানান যে, তাঁর বাবা র্দীঘ দিন যাবত বার্র্ধক্যজনীত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান। গতকাল রাত ১০ টার দিকে ঢাকার গুলসান এলাকায় প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ হারাগাছ পৌরসভায় নিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় হারাগাছ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বড়ভাই মরহুম আলহাজ¦ রহিম উদ্দিন ভরসার পাশে দাফন করা হয়। করিম উদ্দিন ভরসার মৃত্যুতে এক শোক বার্তায় বিদেহি আত্বার মাগফিরাত কামনা, গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়্রাম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোঃ কাদের এমপি, রংপর-৪ আসনের বর্তমান এমপি বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী, রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কাউনিয়ার উপজেলার চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, হারাগাছ পৌরমেয়র এরশাদুল হক এরশাদ এবং সর্বস্তরের সকল মানুষের ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হন। সাবেক এমপি করিম উদ্দিন ভরসার দুই স্ত্রীর ঘরে ১০ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ ১৬ সন্তান আছে। করিম উদ্দিন ভরসা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিড়ি সিগারেট, ম্যাচ ফ্যাক্টরি, কাগজ মিল, কোল্ড স্টোরেজ, হাউজিং, ইমপেক্স, আরকে ফ্যানসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়েছিলেন তিনি। সেখানে একসময় প্রায় ৩০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করতেন। সংসদে দাঁড়িয়ে রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় ‘হামার সরু সড়ক চ্যাপ্টা করি দাও বাহে স্পিকার’ বক্তব্য দিয়ে দেশে বিদেশে আলোচিত ছিলেন তিনি। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।