দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, এ বছর বন্যায় সারা দেশে আনুমানিক ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাম্প্রতিক বন্যা, ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত ‘আন্ত:মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি’র সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের আনুমানিক আর্থিক দাম ১২৫৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ১১২ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের আনুমানিক আর্থিক দাম ৫৫৯৫৭ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ৫০৮ টাকা। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ৩৬৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৩ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৩৫৫ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৫৫ টাকা ।
তিনি বলেন, এভাবে ব্রিজ-কালভার্ট পাকা সড়ক, ইট-নির্মিত সড়ক, কাঁচা সড়ক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কমিউনিটি স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির এবং বাঁধের সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে আনুমানিক বন্যায় সারা দেশে ক্ষতি ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকা।
‘এ বছর মে মাসের ২য় সপ্তাহে দেশের উত্তর ও পূর্বা লে কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরায় কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। দেশের উত্তর ও পূর্বা লের কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে ১৩ মে থেকে পূর্বা লের সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশেপাশ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পর্যায়ক্রমে এই বন্যা দেশের ১৮টি জেলায় বিস্তৃতি লাভ করে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে ১ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৭ হাজার ২০ মেট্রিক টন চাল, ৯ কোটি ৪৪ লাখ নগদ টাকা, ১ লাখ ৪০ হাজার ১৩২ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৪০ লাখ টাকা, গো-খাদ্য কেনার জন্য ৪০ লাখ, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা, এবং ৮ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।