মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

পানি কি আসলেই আকাশে ওঠে?

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২

ভরা বিল থেকে পানি আকাশে উঠে যাচ্ছে! পানি বাষ্প হয়ে শূন্যে মিলিয়ে যায়। সে দৃশ্য খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এই দৃশ্য বহুদূর থেকেও দেখা গেছে। যেন বিল থেকে পানি মোটা পাইপ দিয়ে কেউ শূন্যপানে টেনে নিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভেসে বেড়াচ্ছে এমন একটি ভিডিও।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে। দেখতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এ ঘটনার বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা আছে। যদিও অনেকে বিষয়টি ‘অলৌকিক’ বলে মনে করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্মিত হয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, এমনকি কয়েকটি নিউজ পোর্টাল এই ঘটনার সংবাদ শিরোনামে ‘অলৌকিক’ শব্দটি জুড়ে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান ড. তওহিদা রাশিদের সঙ্গে।
নাজমুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনার বৈজ্ঞানিক নাম ওয়াটার স্পুট বা জলস্তম্ভ। এ ধরনের স্তম্ভ গভীর পানিতেও হতে পারে, অগভীর পানিতেও হতে পারে। এটা সমুদ্র নদী কিংবা লেকেও হতে পারে। এটাকে অনেকে পানির টর্নেডো বলেন। এই টর্নেডো দুই প্রকার। যাই হোক, মূলত পানির ওপর বাতাস ঘুরতে থাকে এবং কিছু ময়েশ্চার উপরে তুলে নেয়। এটা ফানেল আকারে উপরে উঠতে থাকে (নিচের দিকে চিকন উপরের দিকে মোটা)।
এর স্থায়িত্ব সাধারণত ২০ মিনিটের মতো হয় উল্লেখ করে এই আবহাওয়াবিদ আরো বলেন, একটা ঘূর্ণিঝড়ের গতি সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটায় এবং একটা টর্নেডোর সর্বনি¤œ গতিবেগ ২৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। সুতরাং এর গতিবেগ যথেষ্ট বিপজ্জনক। এবং এ ধরনের জলস্তম্ভের আশেপাশে বাতাসের গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার হয়ে থাকে। যদিও এগুলো খুব ছোট এরিয়া নিয়ে হয়। ড. তওহিদা রাশিদ বলেন, এটি এক ধরনের টর্নেডো। কখনো কখনো শক্তিশালী হয়ে উপরের দিকে বাতাস টেনে নিয়ে যায়। টর্নেডো মাটিতে হলে বাড়িঘর উপরে নিয়ে যায় এবং পানিতে হলে পানি ও অন্যন্য উপাদান নিয়ে যায়। ঘূর্নিঝড় যখন শক্তিশালী রূপ নেয় সেটাই টর্নেডো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পৃথিবীর অষ্টম টর্নেডোপ্রবণ দেশ। কানাডা, ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, নিউজিল্যান্ড, জাপান, ভারত প্রভৃতি দেশ এই তালিকায় রয়েছে। ১৯৮৯ সালে মানিকগঞ্জে ‘দৌলতিয়া-সাটুরিয়া টর্নেডো’কে এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী টর্নেডো মনে করা হয়। যার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪১৮ কিলোমিটার। এ ঘটনায় ১৩০০ জনের মৃত্যু হয়। – রাইজিংবিডি.কম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com