গাইবান্ধায় নিজের গ্রামে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ। গতকাল সোমবার (২৫) বিকেল ৩টায় সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল পৌনে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ফ্লাইটে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে পৌঁছায়। এরপর মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর দুপুর দেড়টায় সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টার বোনারপাড়ার হেলেনচা গ্রামের ভেলাকপা বিলে অবতরণ করে। সেখান থেকে তার স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা মরদেহ নিয়ে ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসেন। এরপর সেখানে মরদেহে সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মী, রাজনৈতিক সহকর্মী, আইনজীবী ও জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান। এতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। শ্রদ্ধা শেষে তারা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আরেকটি জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ফজলে রাব্বীর জানাজা ও দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্নে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বি ও মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি। এছাড়া ফজলে রাব্বীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ দুই দফায় জানাজা নামাজ ও সুষ্ঠু দাফন সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ২২ জুলাই দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান ফজলে রাব্বী। দীর্ঘ ৯ মাস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বি মিয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় সংসদের পরপর দুবারের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সফল জনপ্রতিনিধি ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে শোক বিরাজ করছে সাঘাটা-ফুলছড়িসহ গোটা গাইবান্ধায়।